দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুর জেলার চার পৌরসভায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ২০ মেয়র প্রার্থী ঢাকায় অবস্থান করছেন। নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ঢাকায় ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাসা, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে প্রার্থীরা নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন। শনিবার রাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ৩ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয়েছে। সেখানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওই সভায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরদিন (৪ ডিসেম্বর) মেয়র প্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত করতে রামগতি ও রায়পুর পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করা হয়। ৫ ডিসেম্বর রামগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর পৌর কমিটির বর্ধিত সভা হয়। পরবর্তীতে ভোটাধিকার ও মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত করে কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরে ১০ প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়। তবে সেখানে পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আলোচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ তাহেরের নাম নেই। তার (তাহের) বিরুদ্ধে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলায় নৌকার বিরুদ্ধে মেজ ছেলে একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রার্থী করিয়ে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগ রয়েছে জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে তাহেরও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
লক্ষ্মীপুরে প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুজ্জামান পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ও জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদ।
দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রায়পুর পৌরসভায় রফিকুল হায়দার বাবুল পাঠান, কাজী নাজমুল কাদের গুলজার, ইসমাইল খোকন, হারুনুর রশীদ ও গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের নাম জমা দেয়া হয়। রামগঞ্জ পৌরসভায় বেলাল আহমেদ, আবুল খায়ের পাটওয়ারী, নজরুল ইসলাম সেলিম ও নুরুল আলমের নাম দেয়া হয়।
এছাড়া রামগতি পৌরসভায় মেজবাহ উদ্দিন মেজু, সোয়াইব হোসেন খন্দকার, ওয়ারেছ মোল্লা, আবু নাসের, শাহ মোহাম্মদ রাকিব ও আজাদ উদ্দিন চৌধুরীর নাম কেন্দ্র জমা দেয়া হয়েছে।
রামগতি ও রামগঞ্জ পৌরসভার ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী জানান, তারা ৭-৮ দিন ধরে ঢাকায় অবস্থায় করছেন। কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে রাজনীতিতে নিজের অবদান, ত্যাগ ও অবস্থান তুলে ধরছেন। তারা নেতাদের বাসা, ব্যক্তিগত ও দলীয় কার্যালয়ে সাক্ষাত করেছেন। এখন যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।
একটি সূত্র জানায়, চারটি পৌরসভার ২৭ প্রার্থীর মধ্যে অন্তত ২০ জন এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। অন্যরা এলাকায় আসা-যাওয়ার মধ্যে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমরা ভোটার ও মতামতের ভিত্তিতে দলীয় মেয়র প্রার্থীদের নামের তালিকা করে ইতোমধ্যে কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। দলের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়ে ভোট করেছে, তাদের নাম না দেয়ার জন্য কেন্দ্র থেকে কঠোর নির্দেশনা ছিল। প্রার্থীরা এখন ঢাকায় তদবির করছেন মনোনয়ন পেতে।
বিবার্তা/হারুন/এনকে