দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
ম্যাক্রোঁ থেকে শিগগির মুক্তি পাবে দেশটি -এরদোগান
ফ্রান্সে পুলিশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত খসড়া আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির রাজধানী প্যারিসে শনিবার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের একাংশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। মাথা ঢেকে রাখা কিছু বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু দোকান ভাংচুর করে এবং কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, ফরাসিরা শিগগিরই প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর হাত থেকে মুক্তি পাবে। বিবিসি, রয়টার্স।
সরকারবিরোধী ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনের কয়েক হাজার সদস্য শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ মিছিল করার সময় মুখ ঢাকা ও কালো পোশাক পরা একদল বিক্ষোভকারী দাঙ্গা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এছাড়া একদল বিক্ষোভকারী একটি সুপার মার্কেট, অফিস ও ব্যাংকে ভাংচুর চালালে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পাল্টা জবাব দেয়। এতে পরিস্থিতি সহিংস আকার ধারণ করে।
যে বিলটি নিয়ে এত বিতর্ক তার ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে’ ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দায়িত্ব পালনরত কোনো পুলিশ সদস্যের ছবি প্রকাশ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বাধিক এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৫৪ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করা হবে।
বিলটির সমর্থকরা বলছেন, এটি পাস হলে তা পুলিশকে হয়রানি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাজেহাল করা থেকে সুরক্ষা দেবে। কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, পুলিশের কর্মকাণ্ডের ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণ করতে না দিলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে, কেননা ফ্রান্সের পুলিশের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে সমালোচনা মুখে পড়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ক্ষমতাসীন দল গত সপ্তাহে জানায়, আইনটির কিছু অংশ নতুন করে লেখা হবে। তবে এতেও বিরোধীরা শান্ত হয়নি। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার পর তিনি ইসলাম ও মুসলিমদের সমালোচনায় মেতে উঠেছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছিলেন, ইসলাম বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সংকটাপন্ন ধর্ম।
তারপর আবারও দেশটিতে মহানবী (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন স্কুলশিক্ষকের খুনের ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিশ্বজুড়ে মুসলিম দেশগুলোতে ফ্রান্সবিরোধী বিক্ষোভ-মিছিল ও ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক আসে। এতে সামনের সারিতে থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দেয় তুরস্ক। ফলে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।
এ অবস্থায় সর্বশেষ ম্যাক্রোঁ বলেছেন, তুরস্কের নীতি ভালো নয়। তার দেশ মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিসরের সঙ্গে কাজ করছে। শিগগিরই মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। তারপরই ম্যাত্রেঁদ্ধার হাত থেকে দ্রুত ফ্রান্স মুক্তি পাবে বলে মন্তব্য করেছেন এরদোগান।