লক্ষীপুর আমনের বাম্পার ফলন ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক

চন্দ্রগঞ্জ লক্ষ্মীপুর সদর

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
কয়েক দফা বন্যার পানিতে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার কয়েকটি ইউনিয়নে নিন্মাঞ্চল গুলোতে আমন ধানের ক্ষতি হলেও উচু এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারগুলোতে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আমন মৌসুমে লক্ষীপুর জেলায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬ শত ২৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৮ শত ১৭ মেট্রিক টন। কয়েক দফা ভারী বর্ষনে লক্ষীপুর জেলার নিন্মাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার ১ শত ৯০ হেক্টও জমির আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকারো বেশী ফসল বিনষ্ট হয়। তারপরও জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার, মান্দারী, দত্তপাড়া উত্তর জয়পুর, কুশাখালী, চরশাহী, ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের উচু এলাকাগুলোতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
অগ্রহায়নের প্রথম থেকেই চন্দ্রগঞ্জ থানার কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা মাঠে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। হাট-বাজারগুলোকে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাওয়ায় বন্যার ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছে।
চরশাহী ইউনিয়নের পুকুরদিয়া গ্রামের কৃষক তাজুল হক জানান, এবার আমাদের জমিতে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। বুধবার স্থানীয় বাজারে ১ হাজার ৮০ টাকা মন ধওে ১০ মন ধান বিক্রি করেছি।
লক্ষীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ বেলাল হোসেন খাঁন বলেন,বর্তমান সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষকের হাতে প্রনোদনা তুলে দিয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় আগামীতে কৃষকরা আরো বেশী করে কৃষি কাজে উৎসাহিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *