সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুর সদর উপজেলার কবির বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে শনিবার সকাল ৮ টায় শাহনাজ আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক টেনে হেঁচড়ে উঠিয়ে নিয়ে গেছে নাজিম উদ্দীন (২০) নামের এক বখাটে ও তার সহোযোগীরা।
শাহনাজ আক্তার সদর উপজেলার লাহারকান্দী ইউনিয়নের মোহাম্মদ হারুনের মেয়ে ও লক্ষীপুর সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনিস্টিউটের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বখাটে নাজিম উদ্দীন আটিয়াতলি গ্রামের পৌর ১১ নং ওয়ার্ডের হাওলাদার বাড়ির মোহাম্মদ জহিরের ছেলে।
শাহনাজ আক্তারের বান্ধবী জুলিয়া আক্তার ও তিথি দিগন্তের আলোকে বলেন প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে আমি শাহনাজ তিথি সুরাইয়া রাবেয়া আমরা সবাই স্কুলে যাওয়ায় উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হই । আটিয়াতলী কবির বাড়ির সামনে আসলে হঠাৎ একটি সাদা রঙের মাইক্রো আমাদের পথ আটকিয়ে দাঁড়ায় এবং গাড়ি থেকে দুইজন লোক নেমেই আমাদের বান্ধবী শাহানাজকে মুখে হাত দিয়ে জোর পূর্বক টেনে হেঁচড়ে গাড়ীতে তুলে পালিয়ে যায় । মাইক্রোতে কয়জন লোক ছিল বা কাউকে চিনতে পারছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন গাড়ির ভিতরে কতজন ছিল আমরা ঠিক মতো দেখি নাই তবে শাহনাজকে যিনি জোর করে গাড়িতে উঠাইছে তাকে আমরা সবাই চিনি । সে দীর্ঘদিন থেকে শাহনাজকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো।
শাহনাজের মা শাহিদা বেগম (৩০) বলেন এই ছেলেটা দীর্ঘদিন আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় বিরক্ত করতো । আমি তার অভিভাবকে বিষয়টি জানানোর পর থেকে ছেলেটি আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করছি আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি আমার মেয়েকে উদ্ধার করে বখাটেকে দ্রুত গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
অনেক চেষ্টা করেও নাজিমের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষীপুর সদর মডেল থানার এসআই মোতাহের হোসেন বলেন ভুক্তভোগী শাহনাজের মা শনিবার বিকেলে থানায় এসে তার মেয়েকে অপহরণ করছে উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগের আলোকে আমরা চেষ্টা করছি মেয়েটিকে উদ্ধার করে বখাটে নাজিমকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য।