দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুরে ব্যাপক হারে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৫ উপজেলার কৃষকরা বাজারে লাল শাক, মুলা শাক, সীম, লাউশাক ও ধনিয়া পাতা সরবরাহ শুরু করেছেন। জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকায় কোনো কোনো চাষি এখনও সবজির জন্য জমি তৈরি করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও শীতকালীন সবজি রপ্তানি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ডিসেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত শাক সবজির আবাদ অব্যাহত থাকবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ৫হাজার ২শ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি আবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৯ অক্টোবর)পর্যন্ত ১হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার চররমনি মহন ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। আবার অনেকের সবজি বড় হয়ে গেছে এবং বিক্রিও শুরু করেছেন। অধিকাংশ জমিতে লাল শাক, মুলার শাক, ধনিয়া পাতা, খিরাই, কুমড়া, লাউ, পুঁই শাক, টমেটোর আবাদ হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসার অধিদপ্তরের উপ-সহকারী আবুল হোসেন বলেন, জেলায় শীতকালীন সবজির যে ল্যমাত্রা রয়েছে তার মধ্যে প্রায় ১হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আবাদ শেষ হয়েছে, চলিত মাসের মধ্যে বাকী জমিতে আবাদ সম্পন্ন হবে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাজারে স্থানীয় সবজি পুরোপুরি আমদানি শুরু হবে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না থাকলে ল্যমাত্রাও অর্জন হবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন।
স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং চিকিৎসা সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ায় সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবে করতে না পারলেও কমিউনিটি ক্লিনিক করে মানুষের দোরগোড়ায় ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছি। তবে, করোনাভাইরাস নামের উৎপাতের কারণে আমাদের অগ্রযাত্রা কিছুটা হলেও ব্যাহত হলো। সেটাও আমরা মোকাবেলা করে চলেছি।’