দিগন্ত ডেস্ক :-
নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং নবায়ন করা হয়নি এমন অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা চার মাসেও না মানায় আবারও সতর্ক করেছেন সিভিল সার্জন। শনিবার দুপুরে (১৪ নভেম্বর) শহরের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার এনির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য-মঙ্গলবার দুপুরে (২৫ আগষ্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে বাসটার্মিনাল এলাকার মার্তৃছায়া ও সরকারি হাসপাতালের পাশেই সেবা ছাড়া অন্য ৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের জন্য মৌখিক ও পরদিন সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বাহারুল আলমের মাধ্যমে লিখিতভাবে বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
প্রাইভেট হাসপাতালগুলো হচ্ছে, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের সামনে নিরাময়, মর্ডান, জনসেবা, বাসটার্মিনাল এলাকায় মেহেরুন্নেছা, মা ও শিশু, তাজমহল সিনেমা হলের সামনে মেঘনা ও সাবরেজিষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত ম্যাক্স কেয়ার হাসপাতাল ও তাজমহল সিনেমা হলের সামনে পদ্মা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার।
সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর গফ্ফার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে সেবা নিশ্চিত করুক। গত ২৩ আগষ্ট নবায়ন করার শেষ সময় পার হলেও তা না করাসহ রায়পুরের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সমস্যা পাওয়া গেছে। সেজন্য হাসপাতাল কর্ততৃপক্ষকে কাগজপত্রসহ অন্যান্ন সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশনার প্রায় চার মাস পার হওয়ার পরও কেন কার্যক্রম চলছে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে আবারও লিখিতভাবে জানা হবে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযানে সিভিল সার্জনসহ তার টিম অপারেশন থিয়েটার, ফার্মেসি, প্যাথলজিক্যাল ল্যাব পরিদর্শন করেন, কাগজপত্র যাচাই বাছাই করেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন, সিভিল সার্জনে নির্দেশে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। গত চার মাসেও কেন হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধে-কাগজপত্র সঠিক করা হয়নি তা রোববার (১৫ নভেম্বর) হাসপাতালগুলো লিখিতভাবে নির্দেশনা দেয়া হবে।