সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরে নানান অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, সরকারি বিধিবিধান অমান্য, ও নবায়ন না করেই নিজেদের খামখেয়ালি মতো দীর্ঘদিন থেকেই পরিচালনা করে আসছে কিছু প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সরকারের যতাযত নিয়ম মেনে পরিচালনা করলেও অনেকেই তা মানছে না। আবার কিছু সংখ্যক হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আংশিক নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে লক্ষীপুর জেলার কয়েকটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, নিজেদের খামখেয়ালি মতো চলছে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কোন রকম নিয়ম মানছে না কেউ। এইছাড়াও কিছু সংখ্যক হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমবিবিএস ডক্টর না থাকা সত্বেও রুগীকে ২ থেকে ৩ দিন ভর্তি করে রাখতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম না বলা শর্তে সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী বলেন কিছু হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসলে সেবার চাইতে হয়রানি হতে হয় বেশি। এই ছাড়াও ডাক্তার দেখাতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়।
লক্ষীপুর জেলার ড্রাগ সুপার শিশির মন্ডল বলেন হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অবশ্যই এমবিবিএস ছাড়া কেউ আলতা করতে পারবেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর গফ্ফার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে সেবা নিশ্চিত করুক। তিনি আরও বলেন আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন কিছুদিন পূর্বে লক্ষীপুরের রায়পুরে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এইসময় তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার যেখানেই অনিয়ম পান আপনারা লিখেন। এবং বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করেন। আইন অমান্য করে কেউ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। এই ছাড়াও তিনি আরোও বলেন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নূন্যতম অনিয়মের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে ঐ প্রতিষ্টানকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তিনি হুশিয়ার উচ্চারণ করেন এমবিবিএস ছাড়া নামের আগে কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।