দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপরের রামগঞ্জে ধর্ষিতার লাশ ৪দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলার বাউরখাড়া গ্রামের চৌকিদার (গ্রাম পুলিশের) লোকমান হোসেনের মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে ধর্ষনের পর হত্যা করে তড়িঘড়ি লাশ দাফনের ৪দিন পর বুধবার দুপুরে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমির উপস্থিততে এবং থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেনের সার্বিক সহযোগীতা লাশ উত্তোলন করার বিষয়টি ণিশ্চিত করেছেন থানার এস.আই মহসিন চৌধুরী। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার সহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সুত্রে জানায়,উপজেলার বাউরখাড়া গ্রামের আইয়ুব মাস্টার বাড়ির হারুন অর রশিদের বখাটে পুত্র বাহারুল আলম ৮ আগস্ট শনিবার বিকেলে গ্রাম পুলিশ লোকমান হোসেনের কিশোরী মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে কৌশলে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবুল কালামের বসতঘরে নিয়ে ধর্ষনের পর হত্যা করে হার্ট এ্যাটার্কে মারা গেছে বলে প্রচারনা করে।
সন্ধ্যার দিকে ধর্ষক বাহারুল তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের সময় গোসল কাজে নিয়োজিত নারীরা ধর্ষনের আলামত দেখে স্বজনদের জানায়।
খবর পেয়ে ৯ আগস্ট রামগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের নিদের্শে এস.আই মহসিন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বাহারুল আলমকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে।
আদালতে ঘাতক বাহারুল আলম ধর্ষন ও হত্যার কথা স্বীকার করলে বুধবার দুপুরে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আক্তার সুমির উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, উত্তোলনকৃত লাশ ময়না তদন্ত করতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।