সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
সবজির দাম দিতেই বেসামাল হয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। লক্ষীপুরের বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির।
কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। কারণ হিসেবে সামনে বিভিন্ন অযুহাত টানছেন বিক্রেতারা। যদিও ক্রেতাদের দাবি, বাজারে সবজির কোনো ঘাটতি নেই। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি লাভের আশায় প্রতিনিয়ত দাম বাড়াচ্ছেন। তবে শাক, মাছ, চাল, ডালসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম নতুন করে বাড়েনি বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার লক্ষীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙ্গা-ধুন্দল ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারভেদে বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা এবং ছোট আলু ৪৫ টাকা। কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। প্রতি কেজি টমেটো ৬০ থেকে ১২০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচকলা, বড় কচু, লাউ, জালি কুমড়া প্রভৃতির দাম।
খুচরা বাজারে শসার কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা এবং গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। সবজির দাম বাড়লেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। প্রতি আঁটি কচুশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা, লালশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা, পাট শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং প্রতি কেজি পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে ধনে পাতার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া লেবু ও পুদিনা পাতার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, সরবরাহ কম থাকায় বাড়ছে সবজির দাম।
জেলার রায়পুর, মান্দারী, দালাল বাজার, পানপাড়া, কমলনগর, ভবানীগঞ্জ, জকসিন, হাজিরপাড়া, উত্তর তেহমুনি, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে তথ্য নিয়ে মাসভিত্তিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।