লক্ষ্মীপুরে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে বহুতল ভবন ” হুমকির মুখে জনজীবন

লক্ষ্মীপুর

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজার, এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে কোন রকম পরিকল্পনা ছাড়াই ভবন নির্মাণের মহা উৎসবে মেতে উঠেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু অসাধু লোকজন। গড়ে উঠছে একের পর এক স্থায়ী পাকা স্থাপনা। এই দখল উৎসবের কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে জনজীবন।

প্রতিটি বাজার, এলাকায় দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা বিশেষ করে খালগুলোর চিহ্ন মুছে যেতে পারে। যার বিরুপ প্রভাব পাশ্ববর্তী ফসলী জমির উপর পড়ার আশংকা রয়েছে। এই ছাড়াও অনুমতি বিহীন অকল্পিত ভবন নির্মাণের ফলে জনজীবন রয়েছে মারাত্মক হুমকির মুখে। স্থানীয় ভুমি অফিস দেখে ও যেন না দেখার বান করছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিন দেখা গেছে সদর উপজেলার জকসিন, মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, দালাল বাজার শাকচর,দত্তপাড়া,দিঘলী,বশিকপুর,পকুরদিয়া, বটতলী,হাজিরপাড়া,দাসের হাট বাজার সহো সদর উপজেলার প্রায় সবগুলো বাজার এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে কোন রকম অনুমতি ছাড়াই অকল্পিত, গাদাগাদি করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে একের পর এক পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এবং কিছু ভবন এখনো নির্মাধীন রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রভাবশালী কিছু অসাধু ব্যক্তি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দুই একজন নেতার শেল্টারে এ-ই কাজগুলো করতে সাহস পায়। কে বা কাহারা দখল করে জানতে চাইলে এলাকাবাসী ভয়ে তাদের নাম বলতে কেউ রাজি হননি। তারা আরও বলেন মাঝে মধ্যে প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সব ভেঙে দেয়, কিন্তু ভেঙে দেওয়ার পরপরই তারা আবার পুনরায় জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করে।

প্রথমে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ। পরে সুযোগ বুঝে পাকা স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে আবার কেউ সরকারি জায়গা দখল করে নিজের মতো করে ৫ থেকে ৭ তলা পর্যন্ত করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,তারা পেশীশক্তি দিয়ে ওইসব ভবন করছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই দখল অব্যাহত রেখেছে।

দখলদারদের মধ্যে কয়েকজন জানান,তারা বহুপুর্বে থেকে এখানে অস্থায়ী দোকান করে নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন। স্থায়ী দোকান নির্মাণে দোকান নির্মানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আমরা অনুমতি এনেছেন বলে জানালেও কোন কাগজ দেখাতে পারেন নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান আরমান শাকিল দিগন্তের আলোকে বলেন। আমরা কয়েকদিন আগে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন যদি কেউ আইন অমান্য করে সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণ করে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যাবস্থা গ্রহণ করে হবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *