সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
মান্দারীতে সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই ঈদের কেনাকাটায়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে ভিড় করছেন বিভিন্ন মার্কেটে। এতে মান্দারীতে আবারও করোনা পরিস্থিতি অবণতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকেলে
চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী বাজার বনিক সমিতির সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে জরুরি সভায় চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি জসিম উদ্দিন এসব কথা বলেন।
ওসি জসিম উদ্দিন বলেন করোনার শুরু থেকে লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় রাতদিন বিভিন্ন উপায়ে বিনয়ের সাথে জনসাধারণকে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এতো চেষ্টার পরে-ও কিছু মানুষ সচেতন হলেও অধিকাংশ মানুষ আমাদের সাথে চোর পুলিশ খেলছে।
এ-ই সময় তিনি কঠোর বাক্যে হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন কিছু অসচেতন মানুষের জন্য হাজার হাজার জনতা বিপদে পড়তে পারে না। লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার স্যারের পক্ষ থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় আট শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।
শুক্রবার থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারীতে সরকার যে শর্ত অনুযায়ী শপিংমল ও বিপনী বিতান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন অমান্য করে কেউ যদি শপিংমল, মার্কেট ও বিপনী বিতান পরিচালনা করেন মাননীয় জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে যে কোন কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, জেলায় লক ডাউনের মধ্যেও মানবিক বিবেচনায় সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আধা বেলা শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু সেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ক্রেতা-বিক্রেতারা বেচা কেনা করছেন যে যার ইচ্ছামত। সভায় মান্দারী বাজারের ব্যাবসায়ী ও বনিক সমিতির নেতৃবর্গ উপস্থিত ছিলেন।