দিগন্তের আলো ডেস্ক
সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টা। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরে প্রায় প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা। বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ ইচ্ছেমত বাজার করছেন। মটরসাইকেল ও অটোচালকরা অবাধে চলাচল করছেন। মনে হচ্ছে যেন শহরে ঈদের আমেজ চলছে। ১২টা ২৫ মিনিটে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার ভুমির নের্তৃত্বে সেনাবাহিনী শহরে অভিযানে নামলেন।
হঠাৎ চারিদিক থেকে শব্দ আসছে “কইরে তোরা, দোকান আটকা-দোকান আটকা-আইতাছে সেনাবাহিনী” এ শব্দ আসার সাথে সাথে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে শুরু করলো। অন্যদিকে প্রধান সড়কে সেনাবাহিনী দেখেই মাক্সবিহীন তিন যুবক পালানোর-সময় আটক হয়ে নয়টি মাক্স কিনে বাড়ী ফিরলো। এভাবে মাক্সবিহীন পথচারি-ছোট যানচলাচলকারিদের মাক্স কিনে বাড়ী ফিরতে বাধ্য হলেন। এ কর্মকান্ড দেখে সচেতনমহন অভিভুত হয়েছেন।
রায়পুরে ক্যাপ্টেন রাহাতের-নের্তৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল টহল দিয়ে মাইকিং করে জনগনকে বাড়িতে নিরাপদে থাকার ও অপরকে নিরাপদে রাখার পরামর্শ দিতে দেখা গেছে। সোমবার (০৪ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের সঙ্গে পুরো শহর জুড়ে কাজ করেছেন তারা। ১৩ মামলায় পথচারি ও ব্যবসায়ীকে ১১৬০০ টাকা টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ২ এপ্রিল থেকে সাধারণ মানুষের ঘরে থাকা নিশ্চত করতে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে যাবে বলে ঘোষণা দেয়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রশাসক কর্তৃক সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষণার পর উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও গ্রামের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। পৌর শহর এলাকায় সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে ঈদের আমেজ। সরকারি নিদের্শ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ও অযোথা ঘুরাফেরা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড দেন সহকারি কমিশনার ভুমি আক্তার জাহান সাথি। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এর আগেও টহল দিয়েছেন সেনা সদস্যরা।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন রাহাত জানান, করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশাসনের সাথে সেনাবহিনী মাঠে কাজ করছে। কোথাও যেন জনসমাগম ও কোন মানুষ যেন মাক্সবিহীন বের না সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে নিয়মিত টহল অব্যাহত থাকবে।