দিগন্তের আলো ডেস্ক
লক্ষ্মীপুর জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। এ আওতায় রয়েছে রায়পুর উপজেলাও। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে ঘরে থাকার নির্দেশনা থাকলেও মানছে না কেউ। পৌরসভাসহ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ৩৫ টি হাটবাজারে জনসমাগমের দৃশ্য দেখলে মনে হয় এ যেন ঈদের আনন্দ। সচেতন মহলের প্রশ্ন এ কেমন লকডাউন? উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সচেনতামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদন্ড ও সতর্কতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তা কাজে আসছে না।
গত (১৩ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক লক্ষ্মীপুর জেলাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হলে প্রথম ২/১ দিন মানলেও এখন আর মানছে না উপজেলার ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারণ। জনসচেতনতার অভাবে লকডাউন যেন কাগজে কলমেই রয়ে গেছে।
সোমবার সকাল ১০ টার দিকে পৌর শহরের মধ্য বাজার, মুড়ি হাটা, স্বর্ণের দোকানগুলো ও ইউনিয়নের সাপ্তাহিক হাটগুলোর সবজি, পান বাজার ও মাছ দোকান হাইস্কুল মাঠে সরিয়ে নিলেও মাংস, মোরগ ও ফলের দোকান পূর্বের স্থানেই থেকে যায়। অথচ সরকারি নির্দেশ মোতাবেক এসব দোকানও সেখানেও সরিয়ে নেয়ার কথা।
এই রমজানকে ক্রেতা সাধারণ ভিড় করছে এসব দোকানে। এমন দৃশ্য দেখে মনে হয় দেশে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) এর মতো মহামারি জনমনে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি, দেখলে মনে হয় ঈদের আমেজ। পৌরসভার মধ্য বাজার, মুড়ি হাটা, নতুনবাজারসহ হায়দরগঞ্জ, খাসেরহাট, মোল্লারহাট, রাখালিয়া, বাসাবাড়ী, বাংলাবাজার, মিতালী বাজার, মীরগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী জানান, প্রতিনিয়ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অযথা ঘুরাফেরা ও দোকান খোলায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত । উপজেলার যে কোনো স্থানে ও বাজারে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারী যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।