দিগন্তের আলো ডেস্ক
ইউপি সদস্য সোহেল রানার কাছে ত্রাণ চাইতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক রিকশাচালকের স্ত্রী ও কন্যা।
বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সোহেল রানার কাছে ত্রাণ চাইতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক রিকশাচালকের স্ত্রী ও কন্যা।
জানা যায়, জয়নগর গ্রামের রিকশাচালক মোঃ কামাল হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগমের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি (ফেয়ারপ্রাইজের) কার্ড বরাদ্দ হয়। কিন্তু তারা কখনও চাল পান না। ওই ফেয়ারপ্রাইজের কার্ড ও ত্রাণ চাইতে গেলে নাসিমা বেগমকে ইউপি সদস্য সোহেল রানা মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। কিছুক্ষণ পর তার স্কুল পড়ুয়া কন্যা জান্নাতিকে (১১) ওই মেম্বার বাড়ির সামনে পেয়ে মারধর করেন এবং স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জান্নাতির মা নাসিমা বেগম আরো অভিযোগ করেন, সোহেল মেম্বর আমার মেয়েকে অনেক দিন ধরেই বলে যে, তুই একা একি আমার সাথে দেখা করিস তাহলে তোগো ত্রাণ দিবো।
বিষয়টি এলাকায় খুব চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সোহেল রানা জানান, নাসিমা বেগম আমার ছাগলের মাথা ফাটিয়ে দেন, এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। তার নামে খাদ্য বান্ধবের কোনো কার্ড নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদুজ্জামান জানান, আমি ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শুনেছি। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা সুলতানা জানান, ইতোমধ্যে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।