সাহাদাত হোসেন (দিপু)
সকলে আমরা সকলের তরে প্রত্যেকে আমরা পরের তরে এ-ই হোক প্রতিটি মানব প্রেমের ধর্ম।
করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় ঝুঁকির মুহূর্তে এ সময়ে লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সম্পাদকের নির্দেশে সামর্থঅনুযায়ী কর্মহীন ঘরে থাকা গরীব ও দুস্থ্য মানুষকে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ নিজেই পৌঁছে দিচ্ছেন কফিলউদ্দিন বিশ্ব্যবিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সৌরভ হোসেন ।
সৌরভ জানান বড় ভাই ছোট ভাই সহপাঠীদের সহোযোগিতায় ও নিজস্ব অর্থায়নে ১৫০ পরিবারে নিজে পৌঁছে দিচ্ছেন এই খাদ্য সামগ্রী,ওষুধ আর অসহায় সকল মানুষদের জন্য হটলাইনে কল দিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অসহায় মানুষগুলোর ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী পাশাপাশি ওষুধ বিতরণের ধারাবাহিকতায় রমজানেও বিলিয়ে দিচ্ছেন এসব উপহার। এই ছাড়াও মসজিদ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবান, হ্যান্ডওয়াস ও টিসু, দিচ্ছি।
সারা বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে দিশেহারা অনেক উন্নত দেশ। করোনার থাবায় হয়েছে বিধ্বস্ত। পৃথিবীর দুই শতাধিক দেশের মানুষকে করেছে গৃহবন্দী।
বাংলাদেশও এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর হাত থেকে বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানস, গণপরিবহন ও শিল্প কারখানা বন্ধ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে করে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে দেশের মানুষকে থাকতে হচ্ছে গৃহবন্দী। খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিম্ন আয়ের ও কর্ম বন্ধ হওয়া অসহায় মানুষের মাঝে রমজান উপলক্ষ্যে চাল, ডাল, মুড়ি, খেজুর, আলু ও পেঁয়াজ পৌছে দেন। করোনাকালীন সময়ে এর ধারা চলমান থাকবে বলে জানান সৌরভ।
সৌরভ হোসেন দিগন্তের আলোকে বলেন, করোনার হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে দিয়েছেন প্রণোদনা। তারোই ধারাবাহিকতায় আমার নেতা লক্ষীপুর জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন শরীফ, ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান, রাতদিন নিরলস ভাবে জনসাধারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, উনাদের নির্দেশে আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে সরকারের পাশাপাশি নিজের সামর্থের মধ্যে চন্দ্রগঞ্জ কর্মহীনরা ঘরে থাকলেও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সে দিকে লক্ষ্য রেখে দেড় শতাধিক পরিবারে উপহার সামগ্রী পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে একটি পরিবারের ৫ দিন অথবা ৭ দিনের খাবার সামগ্রী ব্যবস্থা থাকে। ওই পরিবার গুলোর আবার খোঁজ নিয়ে তাদের মাঝে একাধিকবার এই উপহার পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি/ সম্পাদকের নির্দেশে আমি আমার সাধ্যের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে চাই, অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে, তাদের মুখে একটুখানি হাসি ফুটাতে পারলেই আমার রাজনিতি করাটা স্বার্থক হবে বলে আমি মনে করি।