করোনার অশুভ থাবায় ক্ষতবিক্ষত লক্ষীপুরের কৃষকের স্বপ্নের ফসল

লক্ষ্মীপুর

 

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-

লক্ষীপুর ধান পাকতে শুরু করেছে। সারাবছর খরচের পর এখন ফসল ঘরে তোলার সময়। কিন্তু করোনা দূর্যোগে পুরো জেলায় ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কৃষকের দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

করোনা দূর্যোগের মধ্যে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি নির্দেশে মানুষ ঘরবন্দী থাকায়, ধান কাটতে শ্রমিকসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষকের মুখে হাসি আজ ম্লান হয়ে গেছে করোনা দূর্যোগে শ্রমিক সংকটে ধান কাটতে না পারার কারণে। প্রকৃতিতে মহামারী করোনা ভাইরাসের অশুভ থাবায় যেন আজ ক্ষতবিক্ষত কৃষকের স্বপ্নের ফসল।

ফসল ঘরে তোলার পূর্ব মুহূর্তে কৃষকেরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের মুখে হাসির পরিবর্তে ঝড়ছে চোখের জল। মাঠের পর মাঠ শুধুই ফাঁকা ধান দেখা যাচ্ছে কৃষকের মনে সংশয় ঠিক সময়ে ধান ঘরে উঠাতে পারবেতো। কৃষক ফসলি জমিতে গিয়ে হতাশা আর কান্নায় হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এবার জেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে যে হাসি ফুটেছিল তা এখন মুছে গেছে ফসল পাকার এই সময়ে করোনার অশুভ থাবা ও প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার (ঝড়, বৃষ্টি) কারণে।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছিল। আগামী এক সপ্তাহ পর থেকে ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারি নির্দেশে মানুষ ঘরবন্দী থাকায় ধান কাটতে শ্রমিকসংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সময় মতো ধান কাটতে না পারলে ধান চিটা হয়ে এক তৃতীয়াংশ ফল কমে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *