লক্ষীপুর আইন অমান্য করে চলছে ইটভাটার কার্যক্রম করোনা আতঙ্কে এলাকাবাসী

অপরাদ

সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-
বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে সরকার করোনা প্রতিরোধে নিচ্ছে নানান পদক্ষেপ। এছাড়া প্রশাসন মানুষকে ঘরে থাকার জন্য নিচ্ছেন কঠোর পদক্ষেপ।

লক্ষীপুর সদর উপজেলায় সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে জেলায় প্রায় অর্ধ শতাধিক ইটভাটা মালিকরা শ্রমিকদের দিয়ে ইট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ভাটা এলাকার মানুষসহ শ্রমিকরা করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন।

ইটভাটা মালিকগণ কোনো প্রকার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিয়েই, তাদের দিয়ে অবাধে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকরা দলবেঁধে ইটভাটায় কাজ করে, ঘরে গাদাগাদি করে বসবাস করে ও যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানোয় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

সরেজমিনে সোমবার সকালে লক্ষীপুর সদর উপজেলার কয়েকটি ইটভাটাতে গিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চালাতে দেখা গেছে। কেউ ইট তৈরি করছেন, কেউ ভাটায় কাঁচা ইট সাজাচ্ছেন, কেউ পোড়া ইট বের করছেন, আবার অনেকে কয়লা ভাঙ্গিয়ে ভাটার আগুনে দিচ্ছেন। এই শ্রমিকদের কারো মুখে নেই মাস্ক বা অন্য কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।

ইট তৈরির শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, কোম্পানী ছুটি না দিলে আমরা কি করুম। সবকিছু বন্ধ হলেও, আমাদের ভাটা বন্ধ হয় না কেন? এই ছাড়াও বেশিরভাগ ফিল্ডে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ শিশু শ্রমিক।

ফিল্ড এলাকায় বসবাস করা বাসিন্দারা বলেন, প্রতিটি ভাটায় প্রায় দেড়’শ শ্রমিক কাজ করে। এই শ্রমিকরাই কাজের ফাঁকে স্থানীয় হাট-বাজার ও লোকালয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

এনিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে করোনার কারণে সরকারের বিধি-নিষেধ আরোপের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।

লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদোয়ান আরমান শাকিল বলেন জেলার সকল ইটের বাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারি আইন অমান্য করে কেউ কার্যক্রম পরিচালনা করলে তার বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *