দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গাছ, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সড়ক বন্ধ করে অঘোষিত ‘লকডাউন’ করা হয়েছে।
সদর উপজেলার হাজিরপাড়া দত্তপাড়া, দিঘুলী ইউনিয়ন সহ কয়েকটি এলাকায় গাছ ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অতি উৎসাহিত হয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির উদ্যোগে এ লকডাউন করা হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসহ জরুরী যানবাহন ও রোগীবাহী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদেও সাথে বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। কোন এলাকায় লকডাউন করতে হলে জেলা প্রশাসনের অনুমোতির নিয়ম থাকলেও প্রশাসনের নির্দেশনা মানছেন না কেউ ।
স্থানীয়রা জানায়, লকডাউনের নামে এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে বখাটে আর নেশাগ্রস্থদের আড্ডা বেড়ে যাচ্ছে। বাহিরে লকডাউন ভিতরে সুযোগ নিচ্ছে মাদকসেবীরা। রাস্তা বন্ধ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ব্যহত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে দিঘুলী ও দত্তপাড় ইউনিয়নের স্থানীয় কয়েকজন জন প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চাইলে তারা সড়ক অবরোধ করার বিষয়টি জানতেন না বলে অস্বীকার করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়ক বন্ধের বিষয়ে অনেক জনপ্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে এই মর্মে অনেকেই পোস্ট করতে দেখা যায়।
দত্তপাড়া ও হাজিরপাড়া ইউনিয়নের দুই একটি এলাকায় সড়কের ওপর বৈদ্যুতিক খুঁটি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিছু অতিউৎসাহী লোকজন। এই ছাড়াও ওয়ার্ডে প্রবেশের প্রতিটা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রাস্তা একই ভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
প্রশাসনের অনুমতি বিহীন একই ভাবে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিনিধিরা। এতে ওইসব এলাকায় বাহিরে থেকে লকডাউন বুঝালেও এলাকার বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, জেলার কোন এলাকা এখন পর্যন্ত লকডাউন করা হয়নি বা কোন রাস্তা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়নি। জেলা প্রশাসকের অনুমিত ছাড়া কেউ কোন রাস্তা বা এলাকা বন্ধ করতে পারবে না বলে জানান তিনি।