দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত ১২ টার পর ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে বলে সামাজিকমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন সরকার ফেসবুক টাইম লাইনে একটি পোস্ট দিয়েছেন
মামুন সরকারের স্ট্যাটাসটি আরটিভি অনলাইনের পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল
মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা থেকে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতকারী উগ্রবাদী নেতা মামুনুল হক কে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।”
পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করা হয় নি।
এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদে তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকসহ হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে। জানিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার রাতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ১৭ নেতার নামে মামলা হয়। মামলার এজাহারে এক নম্বর ও হুকুমের আসামি করা হয়েছে মামুনুল হককে।
মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের অনেকের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। তবে আমরা কোনো পদ বিবেচনায় নেব না। আমরা অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
তিনি আরও বলেন, মামলাটি গতকাল রাতে হয়েছে। এখনও প্রি-ম্যাচুরড রয়েছে। আমরা আসামিদের প্রকৃত পরিচয়, তারা বর্তমানে কোথায় অবস্থান করছে, ২৬ তারিখ তারা কোথায় ছিল, বায়তুল মোকাররমে সরাসরি উপস্থিত ছিল কিনা, তারা নাশকতার নির্দেশ বা উসকানি দিয়েছে কিনা, হামলার অর্থদাতা বা মাস্টারমাইন্ড কিনা তা শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মামলাটির বিষয়ে পুলিশের অবস্থান জানতে চাইলে ডিসি বলেন, ‘যিনি মামলা করেছেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী। তিনি টাইলসের আঘাতে আহত হয়েছেন। তার অন্য কোনো পরিচয় আছে কিনা তা আমরা খুঁজে বের করব।’
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে আরিফ উজ জামান নামের ওয়ারীর এক ব্যক্তি হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনসহ কয়েকটি ধারায় পল্টন থানায় মামলাটি করেন। মামলায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আরও ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সুএ আরটিভি