দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ¥ীপুরের রামগঞ্জে অটোরিকশা ছিনতাইকালে ছুরিকাঘাতে রিপন হোসেন হত্যার ঘটনায় মো. জসিম (৪০) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তার তথ্য অনুযায়ী একটি দেশীয় রিভলবার উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে পুলিশ সুপার (এসপি) তারেক বিন রশিদ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জসিম রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পূর্ব পানপাড়া গ্রামের তোফায়েল আহমেদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে দুপুরে রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কাওসারুজ্জামান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ঢাকার কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু বকর ছিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) হাসান মোস্তফা স্বপন, সহকারী পুলিশ (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী, রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক, রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।
এসপি জানান, তদন্তকালে রামগঞ্জ ও রায়পুরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারী চক্রের নাম উঠে আসে। তদন্তপ্রাপ্ত জসিমকে ঢাকার কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ১৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা ছিনতাই ও হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তিনি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানান। তাদের একটি ছিনতাইকারী দল রয়েছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রামগঞ্জের পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকায় যাত্রী সেজে আলভী দেওয়ান হৃদয় দেওয়ান নামে এক যুবক রিপন নামে একজনের চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন মারা যায়। একই রাতে হৃদয়কে নারায়ণঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন তার তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত মো. সুজন ও বেলাল হোসেন নামে আরও দুজনকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ছিনতাইকৃত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর নিহত রিপনের ভাই মো. স্বপন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। নিহত রিপন রামগঞ্জ পৌর শহরের কাজিরখীল এলাকার মনির উদ্দিন বেপারী বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে।