বিশেষ প্রতিনিধি ঃ-
লক্ষীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হত্যা চেষ্টায় মামলার প্রধান আসামি পলাতক সোহাগকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে।
শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তা চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল হান্নান আসামি সোহাগকে গ্রফতার করেন।
আসামি সোহাগ চন্দ্রগঞ্জ থানার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে।
এই মামলার বাদী ওমর ফারুক ও ভুক্তভোগী মোতাহের হোসেন বলেন দীর্ঘদিন থেকে সোহাগ ও তাঁর পরিবারের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ, চাকরি ও ব্যবসার সুবাদে আমি ও আমার ভাইয়েরা চট্টগ্রাম থাকি, গত ৪ বছর,আগে আমি বাড়িতে আমার ক্রয়কৃত মালিকানা জায়গায় বাড়ির কাজ শুরু করার কয়েকদিনের মাথায় কোন কারণ ছাড়াই ,সোহাগ ও তার পরিবার সন্তাসী কায়দায় লাঠি চোটা নিয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং জোরপূর্বক জায়গা পাবে বলে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় বিষয়টি সামাজিক গন্যমান্য ব্যক্তি মেম্বার, ও ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করি।
পরে মেম্বার দুই পক্ষের উপস্থিতি ও উভয়ের সম্মতিক্রমে উক্ত জায়গাটি মাপার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এবং মাপ দেওয়ার পরে উল্টো আমরা প্রস্থে ৫ ফুট ও লম্বায় ৩০০ ফুট জায়গা আরও বাড়তি পাওনা হই।
মোতাহের হোসেন জানান কিছুদিন পূর্বে সোহাগ ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে, সহিংসতার উদ্দেশ্যে আমাদের জায়গা থেকে জোরপূর্বক গাছ কাটতে এলে আমার বাড়ির কেয়ারটেকার নুর আলম গাছ কাটতে নিষেধ করায় সোহাগ,,সোহেল,,জিয়া,,দেলোয়ারা বেগম ও তাদের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরও বলেন সোহাগ ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় আমি ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে । আমি এবং আমার পরিবার তাদের আতঙ্কে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগিতেছি। মোতাহার হোসেন আরও বলেন এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের কাছে সোহাগ ও তার পরিবারের এমন নৃশংস অন্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।