সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কর্মহীন, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো খাদ্য সমস্যার মধ্যে পড়েছে। তাদের পাশে সরকার ও ব্যক্তিগতভাবে অনেক মানুষ দাঁড়িয়েছে। পিছিয়ে নেই লক্ষীপুর জেলা।
লক্ষীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেকেই নিজের জীবন বিপন্ন করে অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের একজন মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ও একই ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দারী গ্রামের পাঠান বাড়ির ছলিম উল্ল্যা খানের ছেলে কবির খাঁন।
তিনি প্রতিনিয়ত তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে করোনা শুরুর পর থেকে নিজের ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এই ছাড়াও সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে অসহায় ও ছিন্নমূল প্রায় চার শতাধিক পরিবারের খাদ্যের সরবরাহ করে দেন।
কবির খাঁন জানান, বিশেষ করে আমাদের সমাজে এমন অনেক পরিবার আছেন যারা সরকারি ত্রাণ পান না, লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ আনতে পারেন না, তারা ম্যাসেজ দিলে রাত অথবা দিন যখনই হোক আমি খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া চেষ্টা করি। যতদিন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকবে ইনশাআল্লাহ যতটুকু সম্ভব আমার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে যতটুকু সম্ভব প্রতিটি গ্রামে গিয়ে চেষ্টা করছি করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে। এই ছাড়াও কখনো টাকা কখনো খাদ্য দিয়ে চেষ্টা করছি কিছু হতদরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। আমি চাই না কাউকে আমি সহযোগিতা করবো সেটা অন্য কেউ জানুক। করোনা শুরু থেকে এই পর্যন্ত আমার মাধ্যমে প্রায় আট শতাধিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছেছে, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি এক কপি ছবি নিয়েছি, কিংবা কখনও প্রচার করেছি। আমি কাউকে কিছু দেবো সেটা অন্য কেউ জানবে কেন। এই এলাকার মানুষের কাছে আমার এতটুকু ছাওয়া মরন পর্যন্ত যেন সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে বেচে থাকতে পারি।