সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ স্বামীর সাথে অভিমান করে বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধু। দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর নাম নিলুফা আক্তার সোনিয়া (২১) । মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের তার বাবার বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ নিলুফা আক্তার সোনিয়া’ চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের, বোরহান উদ্দিন কাজী বাড়ির নুর নবীর মেয়ে, ও একই গ্রামের প্রবাসী নাছির উদ্দীনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত এক বছর আগে গৃহবধূ সোনিয়ার স্বামী নাছির উদ্দীন অনেকের থেকে টাকা ধার নিয়ে বিদেশ যান। বিগত কয়েকদিন থেকে অনেকেই তাদের পাওনা টাকার জন্য গৃহবধূ সোনিয়াকে ছাপ সৃষ্টি করলে সে তার স্বামী নাছির উদ্দীনকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে এই বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী -স্ত্রী মধ্যে প্রায় কথা কাটাকাটি হতো। গতো দশ-বারো দিন থেকে গৃহবধূ সোনিয়ার স্বামী নাছির উদ্দীনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায়, অভিমান করে গৃহবধূ সোনিয়া তাদের বড় মেয়ে কাকলী’ (৪) ছোট মেয়ে নাফিজাকে’ (২৮দিন) সঙ্গে নিয়ে সোমবার বিকেলে তার বাবার বাড়ি চলে আসেন ।
পরের দিন মোঙ্গলবার, সকাল সাতটার কিছুক্ষণ আগে ‘তার আটাশ দিনের শিশুসন্তান নাফিজার সামনে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ নিলুফা । এ সময় শিশু কন্যা নাফিজার কান্না শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সোনিয়াকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হয়েছে। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।