দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
(আরও পড়ুন চন্দ্রগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে কি হচ্ছে)
দুই জেলার সীমানা বিরোধের গুজব ছড়িয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেনকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
(আল হেরা ট্রাভেল, মান্দারী মধ্যে বাজার, চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষীপুর)
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টাংকির ঘাট এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। পরে নোয়াখালী সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
সন্ধ্যায় হাতিয়ার কয়েকজন যুবক ফেসবুকে লাইভ দিয়ে ঘটনাটি উস্কে দিতে দেখা গেছে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ অ্যান্ড অপস) বিজয়া সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাতে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে টাংকিরঘাট গিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে আছে।’
(আল হেরা ট্রাভেল, মান্দারী মধ্যে বাজার, চন্দ্রগঞ্জ, লক্ষীপুর)
রামগতি থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে টাংকির ঘাট ক্যাম্পে যাই। ক্যাম্পে আমাদের মিটিং চলাকালে স্থানীয় কয়েকজন মেম্বার এলে আমরা উনাদের পরে আসতে বলি। উনারা বাইরে গিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে গুজব ছড়িয়ে উত্তেজিত করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এর পেছনে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ইন্দন রয়েছে।’
রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল, ‘টাংকির বাজার ক্যাম্পের পাশে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি আরআরএফ (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) ক্যাম্প রয়েছে। আমরা ক্যাম্পের গোল ঘরে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সদের নিয়ে মিটিং এ বসার কিছুক্ষণ পর কোনো কিছু না বলে একজন লোক বসে পড়েন। আমি ওনার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মাইন উদ্দিন মেম্বার বলে পরিচয় দেন।
‘মেম্বার ও উনার সঙ্গে থাকা লোকদের পরে আসার জন্য বললে তারা বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করে তুলে সহস্রাধিক লোক জড়ো করে ফেলেন। এ ঘটনাটি রামগতি ও হাতিয়ার সীমানা বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে। নোয়াখালী থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আসছেন, উনারা আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা হয়।’
এ বিষয়ে হাতিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী গণমাধ্যমকে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেন।