শাহরুখ খানের দানের তালিকা দেখে চক্ষু ছানাবড়া!

বি‌নোদন

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
গোটা বলিউড যখন করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ত্রাণ তহবিল গুলোতে সাধ্যমতো সাহায্য করছেন, তখন এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কিং খান চুপ কেন? হাতে সিনেমা নেই বলে কি, সামাজিক দায়িত্ব থেকেও মুখ ফিরিয়েছেন?ৃ এজন অজস্র বাঁকা কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে। তবে এবার তিনি সব সমালোচনার জবাব দিলেন।

দিল্লি-পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তো অর্থসাহায্য করলেনই, উপরন্তু দুস্থ-প্রান্তিক মানুষদের মুখেও খাবার তুলে দেওয়ার জোগাড় করলেন। এককথায়, শাহরুখ খান যা করলেন, অভিনেতা সত্ত্বার বাইরে গিয়েও দেশবাসী তাঁর এই মানবিক উদ্যোগের জন্য চিরকাল তাঁকে মনে রাখবে। আর এই জন্যই বোধহয় হাতে কাজ না সত্ত্বেও তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে বলিউডের বাদশা এখনও তিনিই রয়ে গিয়েছেন। এমনটাই মত নেটিজেনদের একাংশের।

একনজরে শাহরুখ খান যা করলেন। শাহরুখ খান তার ক্রিকেট টিম নাইট রাইডার্স ও প্রযোজনা সংস্থা রেড চিলিজের হয়ে পিএম এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে মোটা অঙ্কের টাকা দিচ্ছেন। এছাড়াও শাহরুখের ‘মীর ফাউন্ডেশন’ পক্ষ থেকে ৫০ হাজার পিপিই কিট দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ আর মহারাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে। উপরন্তু আলাদা করে আরও অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করেছেন যাতে আগামী দিনগুলিতে বাংলাও মহারাষ্ট্রের হাসপাতালগুলিতে যাতে তাদের ভেন্টিলেটরেরও আকাল না হয়।

এছাড়াও ‘এক সাথ’ নামের একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মীর ফাউন্ডেশন করোনার জেরে বেকার হয়ে যাওয়া মুম্বাইয়ের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার দিন আনি দিন খাই পরিবারকে রোজ দু বেলা খাওয়ানোর দায়িত্ব তুলে নিয়েছে। অন্তত একমাস খাদ্য সরবরাহ করা হবে তাঁদের। উপরন্তু ২ হাজার প্লেট খাবার রোজ পৌঁছে যাবে হাসপাতাল আর জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছে। যার সমস্ত ব্যায়ভার বহন করবেন শাহরুখ খান নিজে।

এখানেই শেষ নয়! মুম্বাই পুলিশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাঁর সংস্থা রোজ ৩ লাখ খাবারের প্যাকেট বিলি করবে ভবঘুরে আর ভিক্ষুকদের মধ্যে। যাতে রাতে অভুক্ত থেকে যেন কাউকে ঘুমোতে যেতে না হয়! এছাড়াও দিল্লির ২৫০০ দিন মজুরদের পরিবারগুলিতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত আগামী ১ মাস বিনামূল্যে রেশন বিলি করার দায়িত্ব নিয়েছেন শাহরুখ৷ উল্লেখ্য, বলিউড তারকারা প্রত্যেকেই নিজেদের সাধ্য়মতো সাহায্য করলেও এর আগে কিন্তু শাহরুখের মতো বহুমুখী সাহায্যের প্রস্তাব কেউ দেননি। শুধু বললেন, এই গোটা ভারত একটা পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *