দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা এবং নবায়ন করা হয়নি এমন অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৫ প্রাইভেট হাসপাতালকে বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করায় অবশেষে অর্থদণ্ড করেছেন ভাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে (০১ ডিসেম্বর) শহরের হাসপাতালগুলো অভিযান চালান সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার ও রায়পুরের সহকারি কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) আক্তার জাহান সাথী।
উল্লেখ্য- দ্বিতীয় অভিযানে-গত রোববার (১৫ নভেম্বর) চিঠি দিয়ে সকল প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন। প্রথম অভিযান চালানো হয়েছিলো মঙ্গলবার দুপুরে (২৫ আগষ্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিভিল সার্জন অভিযান চালিয়ে বাসটার্মিনাল এলাকার মার্তৃছায়া ও সরকারি হাসপাতালের পাশেই সেবা ছাড়া অন্য ৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধের জন্য মৌখিক ও পরদিন সরকারি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বাহারুল আলমের মাধ্যমে লিখিতভাবে বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত হাসপাতালগুলো হলো, রায়পুর সরকারি হাসপাতালের সামনে নিরাময়কে ৫ হাজার, মর্ডানকে ১০ হাজার, জনসেবাকে ৫ হাজার, বাসটার্মিনাল এলাকায় মেহেরুন্নেছাকে ১০ হাজার, মা ও শিশু ২০ হাজার, হেলথ কেয়ার সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুর গফ্ফার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা বা সিলগালা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাচ্ছি, আমাদের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু নিয়মে চলুক। আইনের মধ্যে থেকে সেবা নিশ্চিত করুক। গত ২৩ আগষ্ট নবায়ন করার শেষ সময় পার হলেও তা না করাসহ রায়পুরের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে সমস্যা পাওয়া গেছে। সেজন্য হাসপাতাল কর্ততৃপক্ষকে কাগজপত্রসহ অন্যান্ন সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তারা গত ৫ মাস পার হওয়ার পরও কেন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে আবারও লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছিলো।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন বলেন, সিভিল সার্জনে নির্দেশে প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা-গত ৫ মাসেও কেন হাসপাতালগুলোর কার্যক্রম বন্ধে-কাগজপত্র সঠিক না করায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে অন্যসময়ে অভিযান চলবে।
রায়পুর সহকারি কমিশনার ভূমি আক্তার জাহান সাথী বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর আওতায় ৩টি মামলায় ৪০ হাজার টাকা ও নিয়মানুযায়ী রোগী ভর্তির তথ্য নিবন্ধন বহিতে সংরক্ষণ না করায় মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ আওতায় ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।