দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে ভালোবেসে বিয়ের ৪ মাসের মাথায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পপি আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে এ ঘটনা ঘটে।
তবে পপির বড় বোন পলি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের জন্য স্বামী রাশেদ হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পপিকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। সে কারণেই অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছে পপি। খবর পেয়েও তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আসেনি।
পপি সদর উপজেলার মোহাম্মদনগর গ্রামের জহির হোসেনের মেয়ে। প্রায় ৪ মাস আগে ভালোবেসে রামগঞ্জ উপজেলার শোশালিয়া গ্রামের সমিতির বাজার এলাকার ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি রাশেদকে বিয়ে করেন তিনি। রাশেদ একই এলাকার মো. নুরনবীর ছেলে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ১৫ দিন আগে পপি মোহাম্মদনগর গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বুধবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশে ক্ষেতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে রাশেদের সঙ্গে পপি কথা বলেন। মোবাইল ফোনেই তারা কথা কাটাকাটি করেন। প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল। তবে কী কারণে তা জানা যায়নি।
ঘটনার সময় ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে স্বামীর সঙ্গেই কথা বলছিলেন পপি। একপর্যায়ে রাশেদ তার (পপি) বড়বোন পলিকে কল দেন। তখন রাশেদ বলেন, ‘পপিকে দেখেন, সে কী করে’। এরপর দরজা খুলতে বললেও পপি দরজা খুলছিলো না। পরে দরজা খুলে তাকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক গলায় পেঁচানো ওড়না কেটে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে পপি মারা যান। ধারণা করা হচ্ছে স্বামীর সঙ্গে অভিমান করেই পপি ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
বক্তব্য জানতে নিহতের স্বামী রাশেদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।