দিগন্ত ডেস্ক ঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় আবদুল কাদের (৩০) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে তার চাচী জান্নাতুল ফেরদাউসকে (৫০) কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের ওয়াহিদপুর গ্রামে সুপারি গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত জান্নাতুল ফেরদাউস উপজেলার ওয়াহিদুপর গ্রামের আকরাম আলী পাটওয়ারী বাড়ির মো. ইউসূফের স্ত্রী। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অভিযুক্ত আবদুল কাদের একই এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় মকর্ধ্বজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক। তারা সম্পর্কে চাচী ও ভাতিজা।
স্থানীয়রা জানায়, কাদের নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে। কিন্তু তার কোনো পদপদবী নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রভাব দেখিয়ে তার চাচা ইউসূফের বসতভিটা দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবদুল কাদের রবিবার সকালে ইউসূফের সুপারি বাগান কেটে নষ্ট করতে যান। এতে বাধা দিলে ইউসূফের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তিনি। পরে স্থানীয়রা ছুটে গেলে কাদের ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর প্রতিবেশী ও স্বজনরা আহত জান্নাতুল ফেরদাউসকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পাবর্তীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (৫নং ওয়ার্ড) আবদুল মালেক বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। আবদুল কাদের এরআগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে আহত জান্নাতুল ফেরদাউস ও তার স্বজনরা অভিযুক্ত আবদুল কাদেরের বিচার দাবি করেছেন। তারা জানান, কাদেরের অত্যাচারে বসতঘরে শান্তিপূর্ণভাবে থাকা যাচ্ছে না। সবসময় ভয় ও আতঙ্কে থাকতে হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল কাদের বলেন, আমি আমার বাগানে সুপারি গাছ কাটতে গিয়েছিলাম। এতে আমার চাচী বাধা দেন এবং আমার মা’কে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে হয়তো পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।