দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে সালিশকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাহিমা আক্তার ভূঁইয়াসহ উভয়পক্ষের আটজন আহত হন। এ ঘটনায় তিন কলেজছাত্রকে
শুক্রবার (১২ মে) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার ফারুক ড্রাইভারের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আটকরা হলেন- দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ফারদিন ইয়াসিন অনিক, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান ও নিশাদ।
আহতদের মধ্যে কাউন্সিলর রাহিমা ও পারভীন বেগম সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত পারভীন পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার আবুধাবি প্রবাসী ফারুক হোসেনের স্ত্রী।
পারভীন জানান, কয়েকদিন আগে পাশের বাড়ির এক নারীর সঙ্গে তার (পারভীন) ঝগড়া হয়। ওই নারী কাউন্সিলর রাহিমার কাছে বিচার দেন। এতে হঠাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাহিমা তাকে সালিসের কথা বলে লিপি নামের এক নারীকে দিয়ে ডেকে নেন। কিন্তু সালিশ বৈঠকের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। লিপির বাসায় গেলে ছেলে ও ভাগিনাসহ পারভীনকে একটি কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা আটকে দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে রাহিমা ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ও ভাগিনার সামনেই তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়। এটি সহ্য করতে না পেরে পারভীনের ছেলে ফারদিন ইয়াসিন অনিক ও ভাগিনা মেহেদি হাসান বাধা দেন। এনিয়ে ঘটনাস্থলে হাতাহাতি হয়। পরে রাহিমা ফোন দিয়ে লোকজন নিয়ে এসে ফের পারভীন, তার ছেলে ও ভাগিনাকে মারধর করেন। এতে বাধা দিতে গেলে পারভীনের বাবা কফিল উদ্দিন, ভাই পারভেজ হোসেন, বোন লিপি আক্তারকেও মারধর করেন রাহিমার লোকজন।
রাহিমা জানান, এক নারীর সঙ্গে ঝগড়ার ঘটনায় পারভীনকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপরই পারভীনের লোকজন এসে তার ওপর হামলা করেন। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।