দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সরকারি জমি দখল দুই ইউনিয়নের দুই মেম্বার লোকদের সংঘর্ষে নারীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। রাতে দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে শনিবার বৈঠকের সময় নির্ধারন করে উভয় পক্ষকে থানা থেকে বিদায় করেছেন ওসি ।।ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে (৯ জুলাই/২০) উপজেলার বামনী ও সোনাপুর ইউপির বর্ডার পুট্টিগো এলাকা নামক রাস্তার উপরে।। এঘনায় দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। যে কোন সময় আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার দুপুরে কয়েকজন সচেতন গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার সোনাপুর ইউপি ও বামনী ইউনিয়নের বর্ডার-চরবগা গ্রামের পুট্টিগো পুল নামক স্থানে বামনী ইউপি সদস্য হারুনুর রশীদ ও সোনাপুর ইউপি সদসী রেহানা বেগমের লোকদের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইউপি সদস্য হারুন-সহ ১২ পরিবার তাদের ইউনিয়নের সীমানায় বাড়ীর জমির সামনের খালি অংশের জায়গায় দোকান তুলতে গেলেই সোনাপুর ইউপির নারী সদস্য রেহানা আক্তারের স্বামী আজিজসহ তাদের লোকজন বাঁধা দিয়ে চাঁদা চেয়ে আসছিলো। এবিরোধ মিমাংসার লক্ষ্যে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ প্রায় এক বছর আগে সাবেক ইউএনও শিল্পি রানী রায়ের কাছে লিখিত আবেদন দিলে তিনি এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দিলে তা-তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। দুই ইউনিয়নের বর্ডার এলাকায় আইনশৃংখলা উন্নয়নের সার্থে ও বাসিন্দাদের নিরাপদ বসবাসে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য এসিল্যান্ড তার প্রতিবেদনে সুপারিশ করেন। কিন্তু ওই প্রতিবেদন কোন কার্যকরি প্রদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বামনী ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে বিরোধকৃত জমির অংশ বাদ দিয়ে তাদের জমিতে দোকান তুলেন। তার পাশের সরকারি খালি জায়গায় সোনাপুর নারী ইউপি সদস্য রেহানা বেগম তার লোকজন দখল করতে গেরে এলাকার লোকজন বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে দুই মেম্বার পক্ষের লোকদের মধ্যে দেশীয় অস্র নিয়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ, তার ভাই সরকারি কর্মকর্তা জাবেদ, নুরনবি, খালেদা, সকিনা, রুমা, নারী ইউপি সদস্য রেহানা আক্তার, শিহাব, ফাহিম, নুরুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সহ ৭ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে-রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ক্লিনিকে-চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এঘটনায় বামনী ইউপি সদস্য হারুনুর রশিদ (জহির) ও সোনাপুর নারী ইউপি সদস্য রেহানা আক্তার পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
বামনী ইউপি চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন ও সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউসুফ জালাল কিসমত বলেন, বর্ডার এলাকার জমি দখল করে ইমারত নির্মানে দুই মেম্বারসহ তাদের লোকদের নিষেধ করা হয়েছিলো। কিন্তু উভয়ই কথা শুনেনা। এবিষয়ে আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায়ও মিমাংসার জন্য বলা হয়েছিলো।
রায়পুর থানার এসআই ও তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াছির আরাফাত জানান, দুই মেম্বারের পক্ষ থেকেই লিখিত-অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।