(আরও পড়–ন মান্দারীতে পানের ব্যাবসার আড়ালে জুয়ার এজেন্ট খুলে ,প্রলোবন দেখিয়ে কৌশলে মানুষকে ঠকিয়ে , হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, শুধু তাই নয় তার নেতৃত্বে মান্দারীতে বসে নিয়ন্তন করছে দেশ বিদেশের সকল জুয়াড়ীদের )
দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে মদ ও জুয়ার আসারে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন। এর আগে বুধবার দিনে ও রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের বিপরীত পাশে একটি মদের ভারে অভিযান চালিয়ে ৯ মাদকাসক্ত, পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ড বাঞ্চানগর গ্রাম থেকে ১২ জুয়ারী এবং পশ্চিম চাঁদখালী এলাকা থেকে ৪ জুয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, পবিত্র রমযানেও মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীরা বিভিন্ন স্থানে মদ পান করে করে মাতলামী ও জুয়ার খেলছে। যা সমাজের জন্য ক্ষতি কর। এমন অভিযোগে বুধবার লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশ্বে কিশোর কুমার সাহা এর মদের দোকান অভিযান চালায় র্যাব-১১। এসময় ৫ মাদক ব্যবসায়ী ও ৪ মাদকসেবীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৮১.৮০০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ ও নগদ সাত হাজার নব্বই টাকা।
(আরও পড়–ন মান্দারীতে পানের ব্যাবসার আড়ালে জুয়ার এজেন্ট খুলে প্রলোবন দেখিয়ে কৌশলে মানুষকে ঠকিয়ে , হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা, শুধু তাই নয় তার নেতৃত্বে মান্দারীতে বসে নিয়ন্তন করছেন দেশ বিদেশের সকল জুয়াড়ীদের )
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাঞ্চানগর গ্রামের মৃত শাহাদাত উল্লাহ’র ছেলে মোঃ সেলিম (৫০), সমসেরাবাদ গ্রামের হাজী আব্দুল মুনাফের ছেলে মো. হোসেন (৩৬), রায়পুরের লুদুয়া গ্রামের মোঃ মনির হোসেনের ছেলে মোঃ রিপন (৪৭), উত্তর মজুপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে মোঃ করিম (৪০), শাখারী পাড়া গ্রামের মৃত প্রদীপ কর’র ছেলে রূপম কর (৩৮), লামচরির মৃত উদরত আহম্মদ’র ছেলে মোঃ শাহাদাত হোসেন (৪০), রায়পুরের দেনায়েতপুর গ্রামের দীলিপ কুরি’ র ছেলে দিপ্ত চন্দ্র কুরি (২৭), মৃত হরিনারায়ণ কুরি’র ছেলে জীবন কুরি (৪২) ও স্বপন ঘোষ ছেলে সৈকত ঘোষ (২৬)।
এদিকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের পৌর ৩নং ওয়ার্ডস্থ তবারক আলী ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় অভিযানে চালায় র্যাব-১১ এর অভিযানিক দল। এসময় রুবেল নাম এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের ভিতরে জুয়ার আসর বসিয়ে খেলছিলো এদল জুয়ারী। এক পর্যায়ে অভিযানে ১২ জুয়ারীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় জুয়া খেলায় নগদ ৩২ হাজার ৫৫০ টাকা ও তিন সেট প্লেইং কার্ড (তাস)। তবে র্যাব সদস্যের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যায় আরো ৩/৪ জুয়ারী। গ্রেফতারকৃত জুয়ারীরা হলেন, বাঞ্চানগর গ্রামের নুর মোহাম্মদ ভুইয়ার ছেলে সামছুল হক ভ্ইূয়া (৬০), মোঃ হারুন ভূইয়া ছেলে মোঃ আলম ভূইয়া (২৮), আব্দুল আলী ভূইয়ার ছেলে মোঃ শহিদ ভূইয়া (৪২), জিন্নাত আলী ভূইয়ার ছেলে মোঃ মোবারক আলী (৬৫), ফজলে করিমের ছেলে মোঃ মুরাদ (৩৩), সিরাজুল হকের ছেলে মোঃ মামুন (২৯), মৃত মেন্দী মিয়ার ছেলে সিরাজুল হক (৭০), নওয়াব আলীর ছেলে আবুল কালাম (৬৫), নুর ইসলামের ছেলে মিয়ার উদ্দিন (৩৫), মোঃ শাহজাহানের ছেলে রুবেল (৩৮), মৃত গাজী আহম্মদের ছেলে খোরশেদ আলম (৩০) ও সালেহ আহম্মদের ছেলে মোঃ বেলাল (৩৫)।
অপরদিকে জেলা সদর উপজেলার লাহার কান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদখালী হামিদ পন্ডিত বাড়ির দরজায় খালেকের জায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে আরো ৪ জুয়ারীকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। এসময় উদ্ধার করা হয় নগদ ৬ হাজার ৭২০ টাকা ও সে প্লেইং কার্ড (তাস)। গ্রেফতার কৃত জুয়ারীরা হলেন, শফিপুরের সৈয়দ আহমদ এর ছেলে মো. হানিফ (৫০), চাঁদখালি গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মোঃ বাবুল (৩২), ছেরাজুল হক’র ছেলে আব্দুল জাহের (৪৫), তালহাটি গ্রামের ফয়েজ আহম্মদের ছেলে মোঃ শরীফ (৩০)।
র্যাব-১১ এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ড অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মোঃ শামীম হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে মামলা করা হয়েছে। তাদেরদের সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি আইপিএল জুয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ও জুয়া নিয়ন্ত্রণে আগামীতে এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
আইপিএল জুয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একে ফজলুল হোক বলেন , পর্যায়ক্রমে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে হবে, আগে এদের মুলহোতাকে আটক করতে হবে, মাদক ও জুয়া নিয়ন্ত্রণে তালিকা করেই শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করেন ।