সাহাদাত হোসেন (দিপু)
লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার শহরের উপর বিভিন্ন বাজারে দানব ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ থাকলেও গ্রামাঞ্চলে এবং বিভিন্ন সড়কে এখনো প্রকাশ্যে দিনে ও রাতে মালামাল বহন করে চলছে। গ্রামীন কাঁচা ও পাকা সড়ক নষ্টসহ বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ট্রাক্টর। দানব ট্রাক্টর চলাচলের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এসব কারণে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এই কাজে সহযোগিতা করেন সাবেক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুজ্জামান।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া,কুশাখালী, মান্দারী,দিঘলী, ইউনিয়গুলোতে ইট, বালুসহ অন্যন্যা নির্মাণ সামগ্রী বহন করার কাজে এখনো ব্যবহৃত হতে দেখাগেছে সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ এই ট্রাক্টর। বিশেষ করে যেখানে বড় বড় বালু মহল ও ইটের ভাটা রয়েছে, সেখানেই ব্যবহার হচ্ছে ট্রাক্টর।
পুলিশ সুপারের নির্দেশে এক সময় জেলার ৫ টি উপজেলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)’র নির্দেশে পুলিশ বহু ট্রাক্টর আটক করে। কিন্তু এই কাজটি পর্যায়ক্রমে থেমে পড়ে। জেলা ও উপজেলা সদরে ছোট ট্রাক দিয়ে মাল বহন করলেও গ্রামীন এলাকায় ট্রাক্টর এখনো চলছে।
প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার আনাচে-কানাচে এই দানব ট্রাক্টর চলাচল করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাতের বেলায় বিকট শব্দে ট্রাক্টর চলাচলের কারণে মানুষ ঘুমাতে পারে না। এছাড়াও নতুন সড়কগুলো হয়েছে সেগুলো এখনই নষ্ট হয়ে গেছে।
জানা যায় চন্দ্রগঞ্জ থানার প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এই দানব ট্রাক্টর দিয়ে ব্যাবসা করে যাচ্ছে।
দানব ট্রাক্টর বন্ধ ও দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।
লক্ষ্মীপুর এলজিইডি’র প্রকৌশলীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরে গ্রামের অধিকাংশ সড়ক পাকা হয়েছে। আর এসব সড়ক খুব দ্রুত নষ্ট হওয়ার পিছনে একমাত্র কারণ হচ্ছে সড়কে ট্রাক্টর চলাচল। কোটি কোটি টাকা খরচ করে সরকার সড়ক নির্মাণ করলেও কয়েক মাসের পাকা সড়ক ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ট্রাক্টর মালিকদের নূন্যতম দেশাত্ববোধ না থাকায় এই ব্যবসা থেকে তারা বিরত হননি।
গ্রাম এলাকার ভুক্তভোগী মহলের দাবী লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন আবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে সড়কে দানব ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হবে ।