দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে প্রবাসীর ঘরে ঢুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মোবাইলফোন লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাত ভরি সোনা, ৬০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইলফোন নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
বুধবার (১৩ মার্চ) দিনগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকার সেকান্দর হায়দার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
(প্রবাসীর পরিবারে ডাকাতদলের হানা, ৭ ভরি সোনা লুট)
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল যাওয়ার সময় ঘরে থাকা সবার হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রায়হান মাহমুদের বৃদ্ধ মা শাহানা সুলতানা বলেন, ‘আমরা সবাই ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ হাঁটাচলার শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। বিছানা থেকে উঠে দেখি কয়েকজন মুখোশধারী লোক ঘরে হাঁটছে। চিৎকার দিলে তারা আমাকে ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে চুপ করে থাকতে বলে। পরে আমার কক্ষের আসবাবপত্র তল্লাশি করে।’
রায়হানের স্ত্রী সুরাইয়া আরজু বিথি বলেন, ‘আমার শাশুড়ি চিৎকার করলে ঘুম ভেঙে যায়। তখন একজন মুখোশধারী আমার ঘাড়ে বন্দুক ঠেকায়। একপর্যায়ে আমার ছেলে ইয়াদ মাহমুদের (১৪) গলায় ছুরি ধরে। আমাদের জিম্মি করে প্রত্যেকটি কক্ষে ঢোকে। তারা আমার হাতে ও গলাসহ ঘরে থাকা প্রায় সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘরের ভেতর ও বাইরে ডাকাতদলের সদস্যরা ছিল। সবাই ছিল মুখোশ পরা। এজন্য কাউকে চিনতে পারিনি। আমার ছেলেকে জবাই করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। আধাঘণ্টার মধ্যে তারা মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।’
প্রবাসী রায়হান মাহমুদের ভাই এমরান হোসেন বলেন, ঘটনার পর ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। পরে পুলিশ এসে দেখে গেছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, ঘটনাটি ডাকাতি নয়, এটি চুরির ঘটনা। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।