দিগন্ত ডেস্ক :-
লক্ষ্মীপুর টু রামগঞ্জ ১৯ কিলোমিটার হাইওয়ে সড়কে বাংলাদেশের প্রথম বারের মত ব্যবহৃত হচ্ছে রিফ্লেক্টিভ প্রযুক্তির রেডিয়ান্ট লাইট। সড়কটি নির্মিত হলে সড়ক দূর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি সুফল পাবে এই সড়কে চলাচলকারী লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ও টেকসই উন্নয়নে এই সড়কটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর বাগবাড়ি থেকে রামগঞ্জ জোড়া কবরস্থান পযর্ন্ত ১৯ কিলোমিটার হাইওয়ে সড়কটি ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের’ অর্থায়নে প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে। টেন্ডারের মাধ্যমে সড়কটির নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান অভিজ্ঞ একটি সুনামধন্য ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান। সড়কটি নির্মানে আধুনিক মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ডিরেক্টর জানান, হাইওয়ে সড়কটিতে থাকছে আধুনিক রেডিয়ান্ট লাইট। যাহা সড়কটিকে দৃষ্টিনন্দনের পাশাপাশি রাতের বেলায় চালকদের পথ নির্দেশনা করবে। কাজটি সার্বক্ষণিক ভাবে উপ-বিভাগীয় এবং বিভাবগীয় পরিদর্শন ছাড়াও সার্কেল অফিস, জোন অফিস এবং সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় মনিটরিং করছে। তাছাড়া ব্যবহৃত মালামাল নিজস্ব ল্যাবরেটরি ছাড়াও কুমিল্লা সার্কেল ল্যাাবরেটরি দ্বারা যাছাই বাছাই করা হচ্ছে। কাজটির গুনগত মান বজায় রাখতে অ্যাস ফল্ট মিক্সিং প্লান্ট, ডিজিটাল পেডার মেশিন, মটর গ্রেডার, এক্সকেউটর টেনডম রোলার, নিউমেট্রিক টায়ার রোলার, ড্রাস ট্রাক ব্যবহার করা হয়। আগামী মার্চের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা। ইতিমধ্যে ৬৫% কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করি নিদির্ষ্ট সময়ের আগেই কাজটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট ম্যানেজার জানান, এ সড়কটি নির্মাণে সওজ বিভাগের নির্ধারিত নিয়মানুযায়ী যথাযথ মান বজায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। এতে উন্নত মানের ব্লাকস্টন/এলসি পাথর, ৬০/৭০ গ্রেডের বাংলাসহ উন্নতমানের সব সমগ্রীই ব্যবহার করা হচ্ছে। তাছাড়া সড়কটিতে উন্নত মানের বাংলাদেশের প্রথম রিফ্লেক্টিভ প্রযুক্তিক ব্যবহার করা হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষই বেশি উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।
উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদরে ইউপি সদস্য আবদুল মালেকসহ স্থানীয় কয়েকজন জানান, জনগনের দীর্ঘদিনের দাবী লক্ষ্মীপুর টু রামগঞ্জ হাইওয়ে সড়কটি গুনগত মান বজায় রেখে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কটি নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষের সাথে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাথে বাণিজ্যিক ভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হবে।
ট্রাক চালক রহিম, শামছুল হুদা ও সিএনজি চালক ফরহাদ জানান, এ সড়কটি খুবই ঝুকিপূর্ণ ছিলো। যাতায়াতে প্রতিমুহুর্তেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু হওয়ায় খুশি আমরা। এতে মালামাল নিয়ে যাতায়াতে সুবিধা হবে। তাছাড়া রেডিয়ান্ট লাইট ব্যবহার করা হলে খুবই ভাল হবে। সড়কে দূর্ঘটনাও কমে যাবে।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলীগণ জানান, আধুনিক মানের হাইওয়ে সড়ক নির্মান করা হচ্ছে। সার্বক্ষনিক ভাবে অধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজটি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। পাশাপাশি লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা বানিজ্য আরো সচল হবে।