দিগন্তের আলো ডেস্ক :
ইলিশের প্রজণণ মৌসুমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ (শনিবার) ভোররাত থেকে মেঘনায় পুরোদমে মাছ শিকারে নেমেছে লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। এতে করে জেলে মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। তবে জেলেদের আশা, দীর্ঘ দু’মাস পর নদীতে মাছ ধরতে নামায় এবার জালে ধরা পড়বে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে কিছুটা হলেও গত দুই মাসে মাছ শিকার করতে না পারার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন তারা।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন, (১লা মে) থেকে নদীতে মাছ ধরা শুরু হলেও আগামী আরো দু’ মাস চলবে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান। এসময় নদীতে জেলেদের ইলিশ ধরার উপযোগী জাল ব্যাহারের জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়. লক্ষ্মীপুরের রামগতি চর আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর একশ কিলোমিটার এলাকায় জাটকা সংরক্ষণের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল এ-দুই মাস সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ শনিবার থেকে নদীতে পুরোদমে মাছ শিকারে নামেছে লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসে জেলে পরিবার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে।
লক্ষ্মীপুর সদরের মজু চৌধুরীর হাট ও কমলনগরের মতিরহাট এলাকায় কয়েকজন জেলে আশা প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দু’মাস পর নদীতে মাছ ধরতে নামায় এবার জালে ধরা পড়বে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এতে করে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবেন তারা।
সদর উপজেলার মজু চৌধুরীরহাট মাছ ঘাটের আড়ৎদারারা জানান, একদিকে করোনা সংক্রামন ও অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেরা মার্চ-্এপ্রিল দুইমাস নদী মাছ ধরতে যেতে না পারায়, তাদেরকেও আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে। আজ (১লা মে) থেকে মাছ ধরা শুরু হয়েছে, এতে তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এবার নদীতে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়লে তারাও তাদের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে জানালেন আড়ৎদাররা।
এদিকে অভিযান সফল হওয়া এবার ইলিশের উৎপাদন ২৫ হাজার মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যাক্ত করে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন, (১লা মে) থেকে নদীতে জেলেরা মাছ শিকার শুরু করলেও মে-জুন এ-দু’ মাস ১০ ইঞ্চির নিচে জাটকা শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। এসময়ও জেলেদের ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা দিবে সরকার। তবে ১০ ইঞ্চির নিচে জাটকা শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান এই কর্মকর্তা।