দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ-
লক্ষ্মীপুরে অনুসারীদের নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার কায়কোবাদ অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবুল কাশেম জিহাদি।
জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা চলাকালে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনেই রাকিবকে মারধর করা হয়। আহত রাকিবকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে। তাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া।
অভিযুক্ত কাশেম জিহাদী চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি নিজের নামে বাহিনী গঠন করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন ২৭ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই অনুসারীদের নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কাশেম জিহাদি এসে তাকে এলাপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে অডিটোরিয়াম থেকে বের করে দেওয়া হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব বলেন, কাশেম জিহাদি রাকিবকে মারধর করেছেন। আমরা সেখানে ছিলাম। পরে রাকিবকে সরিয়ে দিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত আবুল কাশেম জিহাদী বলেন, ছাত্রলীগের প্রস্তুতি সভায় আমি ছিলাম। তবে কাউকে মারধর করিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছি। মারধরের ঘটনা শুনিনি। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগও করেনি।
১১ ডিসেম্বর রাতে বশিকপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোসলেহ উদ্দিন মন্টুর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ঢুকে সোহেল নামের এক নির্মাণ শ্রমিককে কাশেম জিহাদি মারধর করেন। এরপর তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখন ইউপি সদস্য মোসলেহ উদ্দিন মন্টু জানান ভয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেননি।