লক্ষ্মীপুরে “গ্রামের দোকান গুলোতে জনসমাগম চলছেই” মানা হচ্ছেনা নির্দেশনা আতঙ্কে সচেতন মানুষ

লক্ষ্মীপুর

সাহাদাত হোসেন (দিপু)

সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, ঠিক তখনই বাংলাদেশ সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নিচ্ছে নানান পদক্ষেপ। কিন্তু সরকারের এই আইন জেলা থানা শহর বাজারগুলোতে কিছু মানা হলেও, মানা হচ্ছেনা প্রত্যেন্ত অঞ্চলের দোকান গুলোতে।

লক্ষ্মীপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে কিছু জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা দেখা গেলেও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। নির্দেশনা অমান্য করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন প্রবাসীরা।

মেইন সড়কের পাশের বাজারে সরকার ঘোষিত লোক ডাউন মেনে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও, সরকারের আইন অমান্য করেই সকাল -সন্ধ্যা গ্রামের চায়ের দোকানে সচরাচর একত্রিত হয়ে আড্ডা দিচ্ছেন অনেক মানুষ।
এতে সচেতন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা। এতে দিন দিন ঝুঁকি বাড়ছেই।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত এক মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে এ জেলায় এসেছেন প্রায় ৪,৫০০ মানুষ , এর মধ্যে মাত্র ৩১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে এ রোগ ঠেকাতে এখনো জনসচেতনতার অভাব রয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

সরেজমিন লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের দোকান গুলোতে গিয়ে দেখা যায় করোনাভাইরাস নিয়ে তাদের যেন কোন মাথা ব্যাথায় নেই, অনেকেই একসাথে বসে চা খাচ্ছে, আবার অনেকেই একসাথে বসে টাস খেলছে।

অপরদিকে প্রবাসীরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেমন মিশছেন, তেমনি হাট বাজারেও যাচ্ছেন। একইভাবে চলাফেরাসহ গ্রামের মানুষের সাথে মিশছেন পাশবর্তী এলাকার প্রায় সব প্রবাসী। তাদের ও পরিবারের সদস্যরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কোনো আতঙ্ক নেই তাদের মাঝে। বিমানবন্দরেও তাদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তারা ভালো আছেন। এদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ রয়েছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে।

লক্ষ্মীপুর একদিকে প্রবাসীদের নিয়ম ভঙ্গ গ্রামের দোকান গুলোতে মানুষের জনসমাগম ও সাধারণ মানুষের অসেচতনতায় করোনা ঝুঁকি বেড়েই চলেছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্রপাল দিগন্তের আলোকে জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করলেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ওসিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন মাননীয় লক্ষীপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক আমি, এবং আমার থানার সকল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি কেউ আইন অমান্য করলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *