দিগন্তের আলো ডেস্ক
করোনা ভাইরাসে লক্ষ্মীপুরে এখনো পর্যন্ত কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে আমি খুশি হয়েছি। লক্ষ্মীপুরের মানুষ লক্ষ্মী হয়ে ভালো থাকুক বলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় লক্ষ্মীপুরের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্মীপুরের মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় এবং গৃহহীন না থাকে, সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকার এখন মজিববর্ষ উদ্যাপন করছে। লক্ষ্মীপুরসহ সব জেলা প্রশাসকের প্রতি নির্দেশ থাকবে এ মজিব বর্ষে কোন মানুষ যেন গৃহহীন ও অভাবভুক্ত না থাকে। এজন্য যত ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার, সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে করোনা ভাইরাস রোধের পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হল রুমে ভিডিও কনফারেন্সে চলাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা রোধে সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। কারণ জুলাই মাস সম্পর্কে অনেক ধরনের কথা শুনা যায়। সারাবিশ্বে যেভাবে করোনা রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সংক্রামক বৃদ্ধি পাওয়ার একটা ট্রেন আছে। তাতে আমাদের সময়টা এসে গেছে এপ্রিল মাস টায়। এসময়টা আমাদের একটু সাবধানে থাকতে হবে।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষ্মীপুরের অসহায় ও কর্মহীনদের সহায়তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪শ মে.টন চাল ও ১৮ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। পূর্বেও মজুদ রয়েছে ৫শ মে.টন চাল ও ৭লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। যা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিতরণ করা হয়েছে। ভিক্ষুক, ফেরিওয়ালা, বাস-ট্রাক হ্যালফারসহ শ্রমজীবি ১৫ হাজার ৬৬০জনের মাঝে খাদ্য শস্য ও নিত্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা শ্রমজীবীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরো জানান, এ জেলায় ২৫ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরীক্ষার জন্য নমুনাগুলো পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ১২টি করোনা টেস্টের ফল পাওয়া গেছে, সবগুলোই নেগেটিভ। লক্ষ্মীপুরে এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। তবে আক্রান্তদের জন্য লক্ষ্মীপুরে হাসপাতাল গুলোতে আইসোলেশন ওয়ার্ডের মাধ্যমে ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জনসমাগম ও সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে ১০জন ম্যাজিষ্ট্রেটসহ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে কাজ করছে।
ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল গাফ্ফার, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।