সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
গত সোমবার কমলনগরে, লক্ষীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়ী বহরে হামলার প্রতিবাদে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের উদ্দ্যোগে মান্দারী বাজারে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ , ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় মোঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় ।
এই সময় জেলা ও থানার দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দরা তাদের বক্তব্যে বলেন লক্ষীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির গাড়িতে পরিকল্পিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করে বলেন, অবিলম্বে অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চ শাস্তির জোর দাবী জানাই। এইসময় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবো বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
উল্লেখ্য সোমবার দুপুরে কমলনগরে সরকার দলীয় সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে নৌকার পক্ষে ভোটারদের প্রভাবিত করতে স্থানীয় চর পাগলা কেন্দ্রে যায়। এসময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা তাদের ধাওয়া করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ীসহ তার সঙ্গে থাকা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের আরো কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকরা জানান, শান্তিপূর্ণ ভোট চলছিল। হঠাৎ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষ নিয়ে কেন্দ্র দখল করতে আসলে ভোটাররা তাদের ধাওয়া করে।
তবে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এসময় তার গাড়ীসহ বেশ কয়েকটি গাড়ী ভাঙ্চুর করা হয়েছে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ রতনের কর্মী-সমর্থকদের দায়ী করেন তিনি।