লক্ষীপুর ঈদকে ঘিরে সক্রিয় কিশোর গ্যাংসদস্যরা”বাড়তে পারে চুরি ছিনতাই।

অপরাদ

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-

আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে লক্ষীপুরের কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা বাড়তে পারে চুরি ও ছিনতাই।

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের মোবাইল, মানিব্যাগ সহ বিভিন্ন মূলবান সম্পদ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এই চক্রের বিরুদ্ধে । অনকেই জানিয়েছেন ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ না করলেও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায়, সমাজের অনেককেই অবগত করেও তাদের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই কিশোর গ্যাং এই চক্রের বিরুদ্ধে পোস্ট দিতে দেখা গেছে, আবার সেখানে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেসার অনেককেই বিভিন্ন সময় এই চক্রের সদস্যদের হাতে লাঞ্চনার স্বীকার, হয়েছেন বলে কমেন্ট করতে দেখা গেলেও, ভয়ে নাম প্রকাশ করে নাই কেউ।

ভুক্তভোগীদের অনেকেই দিগন্তের আলোকে জানান, ঈদকে সামনে রেখে এঁরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে শহর, গ্রাম, বিভিন্ন শপিং মল, দোকান কোথায় নেই এদের দৌরাত্ম সবখানে রয়েছে এদের বিচরণ।

তাছাড়া সন্ধ্যা হতেই রাস্তা -ঘাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠে। শহর কিংবা গ্রামের বিভিন্ন অলিগলির মোড়, বাস টার্মিনাল, সহ সব জায়গায় এরা নানান অপকর্ম ঘটাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে থানায় ভোক্তভোগী কেউ কেন অভিযোগ করে না জানতে চাইলে তারা বলেন ১৫ থেকে ২৫ বছরের, ১৫ থেকে ২০ জন কিশোর নিয়ে তারা এই গ্রুপ তৈরি করে শুরু করে সমাজে বিভিন্ন অপকর্ম। ইভটিজিং, চুরি ছিনতাই থেকে শুরু করে সমাজে সকল ধরনের অপকর্মে লিপ্ত এই গ্রুপের সদস্যরা।

আর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন সমাজের কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি, তাই এদের ভয়ে থানা পুলিশকে কেউ জানায় না। আবার এদের মধ্যে অনেকেই দামী (টানা) হোন্ডা দিয়ে চলাচল করে, অথচ এদের ঘরে ঠিক মতো খাওয়া জুটে না নেই কোন আয়ের উৎস। এদের মধ্যে কেউ কোন অপকর্মে ধরা পড়লে, বলে আমি ভাইর লোক আমাকে কিছু করলে ভাই তোদেরকে ছাড়বেনা বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখান বলে ভোক্ত ভোগী অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

নাম না বলা শর্তে মার্কেটে ঈদের মার্কেটিং করতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমার ব্যাগ থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্ত ভয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যাইনি। এভাবে অনেকের মোবাইল, টাকা বা গলার স্বর্ণের চেইনও নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কি করবো কেউ অভিযোগ দিতে যায় না। কারণ অভিযোগ দিলে তারা ক্ষতি করতে পারে, এবং থানায় গিয়ে কি বলবে, আবার থানায় গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের স্বীকার হতে হবে। তাই নিজের ভাগ্যের দোষ দিয়ে বাসায় চলে যায়।’

লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন দিগন্তের আলোকে বলেন,‘ লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় (স্যার) কিশোর গ্যাং সহ জেলায় সকল ধরনের অপরাধের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছেন। এবং আমাদের নির্দেশ প্রধাণ করেছেন বিশেষ করে কিশোর গ্যাং চক্রকে শক্ত হাতে দমন করার জন্য। কিন্তু কেউ যদি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ কিংবা পুলিশ প্রশাসনকে অবগত না করে তাহলে আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব কিভাবে। তিনি আরও বলেন অপরাধীদের হাত যত বড়ো লম্বা হোক কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *