সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুর জেলার পুলিশ সুপার যোগদানের পরেই মাদক, ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, এবং কঠোর হস্তে দমন করে অনেক জুয়াড়িকে আটক করে আইনের আওতায় এনেছেন। এরপরে ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে জমে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। এদের কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হবে যেন, একেকটি মিনি ক্যাসিনো। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই জুয়ার আড্ডা। লক্ষীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই জুয়ার আসর গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তির সিন্ডিকেটের কারনে এতে জড়িয়ে পড়ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, জুয়ার ছোবল থেকে তাদের সন্তানদের বাঁচাতে চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছেন অবিভাবকরা। স্থানীয় কিছু অসাধু রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যাক্তির তত্ববাধনে বিভিন্ন বাজার, গ্রাম ও ওয়ার্ডের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় বসে এ জুয়ার আসর। এ জুয়ার আসর থেকে কতিপয় কিছু ব্যাক্তি কামিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এতে স্বর্বশান্ত হচ্ছে অনেক পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো জানায়,এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোক ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা নিজেরা খেলে ও জুয়ার আসর বসিয়ে স্থানীয় যুবকদের এতে আসক্ত করছে। জুয়ায় আসক্ত হয়ে যুব সমাজ জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।এলাকায় বেড়ে গেছে চুরি, ডাকাতি সহ নানা অসামাজিক কার্যকালপ।
সরেজমিনে লক্ষীপুর সদর উপজেলার ভাঙ্গাখাঁ, দালাল বাজার, মান্দারী, দত্তপাড়া, লাহারকান্দী, ভবানীগন্জ, দিঘলী ইউনিয়ন ঘুরে জানতে চাইলে সাধারণ মানুষ অভিযোগ করে বলেন দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় দোকান সংলগ্ন ধানক্ষেতে, বাগানে, কিংবা বাসায়, স্থানীয় ও বহিরাগত জুয়াড়িরা জুয়া খেলছে।
লক্ষীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম এই বিষয়ে দিগন্তের আলোকে বলেন ,জুয়া ও মাদকের সাথে কোন আপোষ নয়, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে লক্ষীপুর পুলিশে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে, যেই জড়িত থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে।