(বিশেষ করে মান্দারী ,দত্তপাড়া,দিঘলী,চরশাহীতে বেশী দেখা যায়)
সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরে ফসলি জমি দখল করে মাটি কাটার মহাউৎসব চালাচ্ছে কতিপয় কিছু কর্তা ব্যাক্তি রাজনৈতিক চত্রচায়ায় প্রশাসনের চোখকে পাখি দিয়ে চলছে তাদের এই কার্যক্রম। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র।
আইনের কোন নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে দিনে কিংবা রাতে, বেপরোয়া গতিতে, নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দিয়ে প্রতিনিহিত পারাপার করছে ফসলি মাঠের মাটি। তাদের ব্যবসায়িক দিক চিন্তা করে না আছে সময় না আছে তাদের মানবিক দৃষ্টি ভোঙ্গি । এতে করে দিন দিন ফসলি মাঠের টপ সয়েল মাটি উক্তলনের ফলে ফসল উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা কমে এসেছে। এসব অনিয়ম চিত্র যেন দেখার কেউ নেই।
এদিকে যুগের বিবর্তনে যে ভাবে বাড়ছে মানুষ,সেই সাথে বাড়ছে বাসস্থানও। তাইতো মানুষ গ্রামের ভিটাবাড়ি থেকে বেরে এসে ক্রমান্বয় দখল করে রেখেছে খোলা মাঠ ময়দান। এক সময় এক এক ফসলি মাঠের আকার এদিক থেকে ওই দিক দেখা যেত না ।
পূর্ব থেকে দেখা যেত জেলা উপজেলার ফসলি মাঠগুলোতে কয়েক প্রজাতির ফসল উৎপাদন করতো কৃষকরা।গত কয়েক বছর ধরে মাটি কাটায় একাধিক কোন ফসল উৎপাদন হতে দেখা যাচ্ছে না।
এসব অঞ্চলের ইটের জন্য মাটি সংগ্রহ মূলত আসে পাশের ফসলি মাঠ থেকে। চলতি বছরে মাটির দাম বেশী রেটে বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিক ফিল্ডের এক শ্রেনীর দালাল চক্র রয়েছে।
এই ধরনের দালালরা জমির মালিকদের কাছে অর্থের লোভে ফেলে তাদের ফসলের টপ সয়েল মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে। মাঠের একটি ফসলের পাশে আরেকটি ফসলি মাঠ উচু নিচুর ফলে দেখা যায় পাশ্ববর্তী জমিটিও এক প্রকার বিক্রি করতে বাধ্য থাকে জমি মালিকরা। এসব কিছু যেন চিরচারিত নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে তাদের কাছে। গুটি কয়েকের সুবিদায় চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কৃষক, পথচারীসহ সাধারন মানুষ।
এ বিষয়ে দত্তপাড়া সৈয়দপুর গ্রামের আলী হোসেন, দিঘুলীর কামাল ও ভবানীগঞ্জের সাইফুল বলেন, চলতি বছরের খরায় কৃষি মাঠের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ট্রাক যোগে ব্রিকফিল্ডে পালানো হচ্ছে। এতে করে ফসলের মাঠের পরিধি কমে যাচ্ছে এবং সেই সাথে অবৈধ ট্রাক্টর দিয়ে মাটি উত্তলনের ফলে মানুষের চলাচলের রাস্তাঘাট চরম ক্ষতি করে পেলেছে।
এই ভাবে যদি কৃষি জমি থেকে মাটি উৎলন চলতে থাকে তাহলে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলটি এক সময় নিচু ভূমিতে পরিনতের ফলে কৃতিম নদী হয়ে গড়ে উঠবে। তাইতো সাধারন কৃষকদের দাবি যেন ব্রিক ফিল্ডগুলোর সংখ্যা এ অঞ্চল থেকে কমিয়ে অন্য অঞ্চলে গড়ে তোলার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ।
মেসার্স আ. গণি ব্রিকফিল্ড এর সত্ত্বাধিকারী মহসীন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে খরা পেয়ে নির্ধারিত মাটি শেষ হওয়ার ফলে ট্রাক যোগে মাটি সংগ্রহ করতে হয়।
লক্ষীপুর সদর উপজেলা সৎ নিষ্টাবান ও দায়িত্বশীল (অফিসার) নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম দিগন্তের আলোকে বলেন, অবৈধ মাটির ট্রাক্টর ও ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে ব্রীকফিল্ডে দেওয়ার অপরাধে ইতিমধ্যে অনেককেই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে, তিনি সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্য করে বলেন ,আপনারাতো ভিবিন্ন্ জায়গায় নিউজ সংগ্রহ করতে যান , আইন বহিরভ’ত কিছু দেখলেই দয়া করে আমাদেরকে অবগত করবেন ।তিনি আরও বলেন এই অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিন হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। তিনি আরও বলেন আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিয়মতান্ত্রিক পক্রিয়া ইট ভাটার অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে সচেষ্ট আছি।