লক্ষীপুরে ‘দিনে না মানলেও ’ রাতে নিয়ম মেনে পালিত হচ্ছে লকডাউন

লক্ষ্মীপুর সদর

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-

হঠাৎ করে আবারও করোনাভাইরাস প্রকট আকার ধারণ করায়, এবং সারাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায়, সরকার ঘোষিত ২য় ধাপে সারাদেশে শর্তসাপেক্ষে লকডাউনের প্রথম দিন আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) পালিত হচ্ছে।

লক্ষীপুরে দিনের বেলায় লকডাউন কতটুকু পালিত হয়েছে তা নিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন, আলোচনা এবং সমালোচনা থাকলেও রাতের বেলায় লকডাউন সঠিকভাবেই পালিত হতে দেখা গেছে।
সন্ধ্যা হতেই পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জেলার প্রধান সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি ক্রমেই কমতে থাকে। রাতের ব্যাস্তময় বাজার, পাড়া মহল্লা এবংকি যানবাহনে ঠাসা জেলার প্রধান সড়কগুলোতে সুনসান নীরবতা বিরাজ করতে দেখা গেছে। বড় বড় মালবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল চালকদের ফাঁকা রাজপথে দ্রুতবেগে গন্তব্যে ছুটতে দেখা যায়।

সোমবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লক্ষীপুর জেলার মান্দারী , দালাল বাজার , ভবানীগঞ্জ, উত্তর তেহমুনি, এ-ই ছাড়াও লক্ষীপুর সদর ও চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার প্রত্যন্তঅঞ্চলে বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, ও রাজপথ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লার ছোট-বড় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। পাড়া-মহল্লা ও প্রধান সড়কের কোথাও কোথাও কিছু সংখ্যক সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেলেও অধিকাংশ গণপরিবহন চলাচল ছিল বন্ধ। দিনের বেলায় বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা গেলেও রাতে উপস্থিতির সংখ্যা ছিল খুবই কম।

লক্ষীপুর জেলা শহর ও আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল ও বেকারিসহ ফাস্ট ফুডের সব দোকান বন্ধ। এলাকাবাসী জানিয়েছে, সরকার ঘোষিত বিকেল ৪টার পর দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও, কেউ তা মানেননি। হঠাৎ বিকেল থেকেই সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান এবং সরকারি নিয়ম অমান্য করায় কয়েকটি প্রতিষ্টানকে জরিমানা করার পরে সকলকে দোকানপাট বন্ধ করতে দেখা গেছে। এবং পুলিশ এসে সন্ধ্যার আগেই দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে গেছে। সরকারি নিয়ম অমান্য করে সামান্য কিছু সংখ্যক দোকানপাট খোলা থাকলেও বেশিরভাগ দোকানপাট ছিল বন্ধ।

লক্ষীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম দিগন্তের আলোকে বলেন, সারাদেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে । কিন্তু অনেকেই মানছেন না এই নিয়ম, নিয়ম অমান্য করায় কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, ও সতর্ক করা হয়েছে। এবং আগামীতে আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বিভিন্ন এলাকায়, বাজার ও মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়াও পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *