সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরে তীব্র তাপদাহের মধ্যেও দীর্ঘসময় জুড়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ফলে অনেক এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। একদিকে যেমন গরমের কারণে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না, তেমনি বাইরেও বের হওয়া যাচ্ছে না প্রচন্ড রোদ আর গরমের কারণে ।
তাপদাহে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রাণিকুল। লক্ষীপুর সদর উপজেলায় প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে রোধের প্রখর তাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন তেলেশমাতি মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড রোদের গরমে সাধারণ হতদরিদ্র মানুষরা জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় বের হতে পারেনা। দুপুর হলে রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কমে যায়। তীব্র গরমের কারণে দিনমজুর শ্রমিকরাও সহজে কাজে যেতে চায়না। দত্তপাড়া ইউনিয়নের ফজলু মিয়া, এই তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে শরীরে আগুন লেগেছে। রতনপুর গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম বলেন, বেশি তাপের কারণে দুই-তিন ঘন্টার বেশি ভ্যান চালাতে পারছি না। রাস্তা থেকে গরম তাপ এসে যেন মুখে লাগছে।তাপ ও রৌদ্রের কারণে রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।
প্রচন্ড গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মান্দারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামালুর রহিম সমর, বলেন গরমে হিথস্টক, শিশুদের ডায়রিয়া, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এসব রোগ নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে রোগীরা। আমরা শিশুকে ঘরের বাইরে বের হতে না দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়াতে ও ফ্যানের নিচে রাখতে বলছি।
লক্ষীপুর সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , এ, কে এম, সামছুর রহমান জানান, বিভিন্ন সবজি, করলা,কুমড়া ক্ষেতে কৃষকদের পানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে বৃষ্টির অভাবে আম, লিচু, কাঁঠালের মতো মৌসুমি ফলগুলোরও ক্ষতি করতে পারে বলে তিনি মনে করছেন।