সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-
লক্ষীপুরে দিনের পর দিন মানুষকে জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন এলাকায় তথাকথিত সোর্সদের বিরুদ্ধে ।
জানা গেছে,দীর্ঘদিন প্রসাসন সোর্স হিসেবে কাজ করার সুবাদে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে তাঁরা । অপরাধীদেরকে ধরতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারে সোর্স। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার আর অবৈধ পন্থায় টাকা উপার্জন করছে এই সোর্স । এতে করে প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
অনীহা প্রকাশ করলেই পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকী দেয় তারা।
কারো কাছ থেকে টাকা ধার নিলে ফেরত দেওয়ার সময় হলে, তখন প্রশাসনের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পাওনাদার যদি টাকার জন্য বেশি চাপদেয় তখন প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকিও দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চাইলে, কেন আপনারা প্রশাসন কে অবগত করেন না?
উত্তরে তারা বলেন, সোর্সরা অধিকাংশ সময় প্রশাসনের সাথে কাজ করে বলে আমরা জানি। প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে আমাদের কে আরো বেশি হয়রানি করবে বলে কোন লোকই তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না এবং আমরাও মুখ খুলে কথা বলতে পারি না। তাছাড়া সেই সোর্স বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। সে যে কোন সময়, যে কোন ব্যক্তিকে ফাসানোর জন্য প্রস্তুত থাকে। তাই আমরা তাদের সাথে বাড়াবাড়ি করি না। ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ জানান প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ রইল আপনার এই সোর্সদের খোঁজ খবর রাখুন কোন নিরীহ কাউকে বিনা দোষে হয়রানি করলে সুষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। যাতে করে সোর্সদের হয়রানির কবল থেকে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বাঁচতে পারে।
মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এলাকায় নীরিহ লোকজনকে প্রশাসনের পরিচয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে স্থানীয় তথাকথিত এক সোর্স সে প্রশাসনের সোর্স দাবি করে গন্ধব্যপুর এলাকায় প্রতিনিয়ত অপরাধ করে বেড়াচ্ছে অন্যের ক্ষতি করে প্রশাসনের দোহাই দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তলন করায় যার পেশা। ভয়ে এলাকার লোকজন মুখ খুলে কিছু প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। মানুষকে হয়রানি আর ব্লাকমেইল করাই যেন তার নিত্য দিনের কাজ।
ভুক্তভুগীদের দাবি সোর্স প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে আসামী ধরতে সেই সাথে অপরাধ প্রবনতা কমাতে সহয়তা করে। তাই বলে তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাদা উত্তোলন করবে এ কেমন কথা।
চন্দ্রগঞ্জ থানায় ওসি মোসলেহ উদ্দিন যোগদান করার পর থেকে এমনিতেই অপরাধীদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বেড়েছে পুলিশী তৎপরতা। কমেছে অপরাধ প্রবণতা। অর্জন করা এই সুনামকে অক্ষুন্ন রাখতে হলে অচীরেই সোর্সদের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, অপরাধীদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমার জিরো টলারেন্স। অপরাধীর সাথে যেই সম্পৃক্ত থাকুক না কেনো আমি ছাড় দেবো না। সোর্সদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।