লক্ষীপুরে আইন অমান্য করে দিব্যি চলছে কোচিং বাণিজ্য

অপরাদ

সাহাদাত হোসেন (দিপু) ঃ-

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষকদেরকে জাতির বিবেকও বলা হয়ে থাকে, মানুষ গড়ার কারিগর সেই বিবেকবান শিক্ষকরাই যদি বিবেকহীন কাজ করে থাকে তাহলে কি বা আর বলার থাকে।

দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য অবশ্যই টাকার প্রয়োজন আছে, তাই বলে নিজের জীবন বিপণ্য করে, মনুষ্যত্ব বিবেক বিসর্জন কিংবা দেশ ও দশের ক্ষতি করে নয়। পুরো বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাসে আতঙ্কে দিশেহারা প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমজনতা পর্যন্ত সবাই উদ্বেগ উৎকন্ঠার মাঝে দিন অতিবাহিত করছে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক লক্ষ্মীপুরে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হলেও আইন অমান্য করেই দিব্যি চলছে কোচিং সেন্টারগুলো।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার খ্যাতনামা স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন বাণিজ্যিক এই কার্যক্রম। এর থেকে বাদ যাচ্ছেনা মাদ্রাসাগুলোও।

২২ মার্চ রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুর সরকারি/ বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ জেলার কয়েকটি স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে যাচ্ছেন।

ছোট্ট একটি কক্ষে গাদা-গাদি করে অনেকেই বসে রয়েছেন। আবার কেউ কোচিং শেষে বাসায় ফিরছেন।

লক্ষীপুর চকবাজার ও মান্দারী বাজারের সীমানা মার্কেটের দুইটি কোচিং সেন্টারের মালিক মাধ্যমিক ও কলেজের শিক্ষক পরিচয়দানকারী দুই জন শিক্ষক বলেন , সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পরই আমরা কোচিং বন্ধ করে দিয়েছি। মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীরা আসেন সাজেশনের জন্য তাই তাদের অনুরোধে মাঝে মধ্যে কোচিং করাচ্ছি ।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলেন, সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্তেও শিক্ষকরা কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছে। এজন্য প্রতিদিনই কোচিংয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে কয়েকজন একসঙ্গে পড়ালেখা করা ঝুঁকিপূর্ণ বলে তারাও মনে করেন।

আগামী কাল থেকে সন্তানকে কোচিংয়ে পাঠাবেন না বলে জানান তারা। করোনা থেকে রক্ষা পেতে বাণিজ্যিক এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন অভিভাবকগণ।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফরিদ আহম্মেদ বলেন, সরকারি আইন অমান্য করে কোন শিক্ষক কোচিং বাণিজ্য করলে সরকারি বিধিমালা মুতাবেক তার বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

সে আদেশ কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। কোন শিক্ষক ও সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *