লক্ষীপুরের গ্রামীণ জনপদে গড়ে উঠছে হাঁসের খামার

লক্ষ্মীপুর

সাহাদাত হোসেন দিপু ঃ-

লক্ষীপুর জেলার গ্রামীণ জনপদে হাঁসের খামার গড়ে উঠছে। এই জেলায় খাল ও জলাশয় থাকায় লাভজনক হাঁসের খামার স্থাপনে মানুষের আগ্রহ রয়েছে।

তবে হাঁস চাষের উপর প্রশিক্ষণ না নিয়ে কেউ কেউ খামার করতে এসে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার কৃষিবিভাগ সারাদেশে হাঁস খামার উদ্যোক্তা ও পারিবারিক পর্যায়ে হাঁস পালনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

লক্ষীপুর আঞ্চলিক প্রজনন খামার থেকে ১ দিনের বাচ্চা এই কেন্দ্রে এনে ১৫দিন লালন পালন করে প্রতিষেধক ভ্যক্সিন দিয়ে ৬০ টাকা করে ১৫ দিনের হাঁসের বাচ্চা বিক্রয় করা হয়। এই কেন্দ্রে ১৫ শত ১দিনের বাচ্চা আনা হয় এবং বিক্রয় করা হয়।

লক্ষীপুট প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১২২ টি হাঁসের খামার রয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি রেজিস্ট্রার খামার আর বাকীগুলো অ-রেজিস্ট্রার খামার। এছাড়াও পারিবারিক পর্যায় গ্রামিন প্রতিটি পরিবারে হাঁস লালন পালন করে থাকে।

প্রাণী সম্পদ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় প্রায় ৭ লক্ষাধিক হাঁস রয়েছে। লক্ষীপুর সদর সদর উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের সৌদি আরবে চাকুরী করে গ্রামের বাড়ীতে এসে ৫০০ শত হাঁস নিয়ে খামার করেছেন নাছির গাজী। তবে হাঁস লালন পালনের প্রশিক্ষণ না নিয়ে তার খামার করায় কিছু অসুস্থ হাঁসকে ভ্যক্সিন দিতে গিয়ে প্রায় ১ শত ৪ মাস বয়সী হাঁস মারা গিয়েছে।

বড়বল্লবপুর গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা মারুফ হাওলাদার ৩০০ শত হাঁস নিয়ে একটি খামার করেছেন। তিনি জানান, নেত্রকোনা থেকে খাকি ক্যাম্বেল জাতের ৪ মাসের বাচ্চা কিনে এনে খামার করেছেন। ইতিমধ্যেই তার লালন পালন করা হাঁস ডিম দেয়া শুরু করছে। খামার করে সে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

বাচ্চা বিক্রয় করার সময় প্রতিষেধক ভ্যক্সিন দিয়ে খামারীদের মধ্যে বিক্রয় করা হয়। আড়াই বছর ধরে প্রকল্পটি চালু থাকায় হাঁসের বাচ্চা স্থানীয়ভাবে খামারী ও গৃহস্থ পরিবারের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে। এই অঞ্চল হাঁস লালন পালনের জন্য অত্যান্ত উপযোগী এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *