দিগন্তের আলো ডেস্ক ঃ
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ¥ীপুরে ৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সদর হাসপাতাল ও চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হনুফা বেগম লক্ষ¥ীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওবায়দুল হক হিরনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়।
ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক হিরন জানান, গত কয়েক দিন ধরে তার স্ত্রী হনুফা অসুস্থ ছিলেন। শুরুতে বাড়িতে রেখেই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সোমবার রাত ৮টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালীর চৌরাস্তা প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এরই মধ্যে তার স্ত্রী হনুফা মারা যান।
লক্ষ¥ীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই।
লক্ষ¥ীপুর জেলার সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবীর বলেন, হনুফা বেগম নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। লক্ষ¥ীপুরের হাসপাতালগুলোতে এখনো পর্যন্ত কোনো ডেঙ্গু রোগী মারা যাননি।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত লক্ষ¥ীপুরে এক হাজার ১৭৬ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৩১ জন, কমলনগরে ২৬৪ জন, রায়পুরে ১১১ জন, রামগঞ্জে ৮৮ জন ও রামগতিতে ১৮২ জন। বর্তমানে জেলার পাঁচ উপজেলায় ১৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ৯৯ জন, কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪১, রায়পুরে ১০, রামগঞ্জে ১৩ ও রামগতিতে ১৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।