যে ৮ পরামর্শ মেনে করোনা থেকে সুস্থ চীন : জানাল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

আন্তর্জা‌তিক

 

দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
বর্তমানে চীনের ৩০টি প্রদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের অন্তত দুই লাখ ১৯ হাজার ৩৫০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যাদের মধ্যে ৮৫ হাজার ৭৪৫ জন সুস্থ হয়ে হাসাপাতাল ত্যাগ করেছেন। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৯৭৯ জনের। সংক্রমণের পরিসংখ্যান মতে, অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাভাবিক হতে চলেছে চীনের পরিস্থিতি। গত কয়েকদিনে মৃতের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি কমেছে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও।
চীনের এই সুস্থ হয়ে ওঠা কোন প্রতিষেধকে নয়— বরং আটটি পরামর্শ মেনে চলায় তারা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের লিয়াওংনিং প্রদেশের ডালিয়ান শহরে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাশিম রাব্বি। রাব্বি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, করোনার কোন প্রতিষেধক নেই। একমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করলেই এই রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
চীনা সরকার করোনা মোকাবেলায় আপনাদের কী কী করণীয় মেনে চলতে বলেছে— এমন প্রশ্নের জবাবে হাশিম বলেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। চীনা সরকার করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তাই তারা আজ সফল। আমাদেরকে আটটি পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এগুলো আমাদের মেনে চলা আবশ্যকীয় ছিল। সেগুলো হল—
১. জ্বর, কাশি, সর্দি হলে তাৎক্ষণিক আপনাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। ২. খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যেতে মানা করেছে। সপ্তাহে ১ দিন বাজার করতে বলেছে। ৩. এলাকা ভিত্তিতে লকডাউন করা হয়। যাতে করে করোনায় আক্রান্ত মানুষ এক এলাকা থেকে অন্য কোথাও ঢুকতে না পারে। ৪. বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৫. বাইরে থেকে এসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ভালভাবে হাত ধুতে বলা হয়েছিল। ৬. অযথা চোখে মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। ৭. মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে বলা হয়েছিল। ৮. নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া এবং ব্যায়াম করতে বলা হয়েছে।
হাশিম বলেন, বিশ্বের অত্যাধুনিক দেশগুলোর মধ্যে চীন অন্যতম। সেখানে এত সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও এত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। অথচ বাংলাদেশে করোনা নিয়ে এখনো জরুরি অবস্থাই ঘোষণা করা হয়নি। এখনই পদক্ষেপ না নিলে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে, বিনা চিকিৎসার জন্য মৃতের পরিমাণ বাড়বে এছাড়া মানুষ হতাশার মাঝে পরে গেলে সামাজিক অবস্থা ধংসের মুখে পড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *