দিগন্তের আলো ডেস্ক :-
গত কয়েকদিন ধরেই ‘টক অব দ্য শোবিজ’ এ পরিণত হয়েছে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুর বিচ্ছেদের খবরটি। যদিও বিষয়টি নিয়ে নাটকীয়তার শেষ এখনও হয়নি। শুরুতেই রহস্য জিইয়ে রেখে একটি পোস্ট করেছেন মাহি। সেখানে তিনি জানান, এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা। পরে মাহি শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছ থেকেও ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন মাহি। কেবল জানান অপুর সঙ্গে তিনি আর থাকছেন না। দুজনেরই কোনো অসম্মান হোক এমনটা তিনি চান না বলেও জানান।
অন্যদিকে অপু ঘটনার প্রথমদিন সকালে বলেন, তিনি বিষয়টি শুধুমাত্র ফেসবুক থেকে জেনেছেন। মাহির সঙ্গে কথা বলে বিকালে বিস্তারিত জানাতে পারবেন। অপু সেদিন বিকেলেই জানান, আমাদের পথ চলতে গিয়ে কিছু মতের অমিল হয়েছে। আমাদের সম্মানের জায়গা ঠিক রেখে দুজনে মিলেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় গড়ায়নি বিষয়টি এখনো। এদিকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে তার পরদিনই মাহি একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, দুই বছর আগেই নাকি অপুর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে নেওয়া নয়। দুই বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা দুই পরিবার ছাড়া কেউ জানত না। মাহির এমন বক্তব্যে আকাশ থেকে পড়েন নেটিজেন থেকে শুরু করে সবাই। অনেকেই নেটমাধ্যমে বলেছেন, মাহি-অপুর এই বিচ্ছেদের ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। আসলেই তো তাই। কারণ বিচ্ছেদ নিয়ে মাহি ও অপু দুজন বক্তব্য দিচ্ছেন ভিন্ন ভিন্ন। অনেকেই বলছেন, এটা নিয়ে নাটকীয়তা কিংবা লুকাছুপির কি আছে! বিচ্ছেদ তো কোনো অপরাধ না। একেক বার একেক বক্তব্য না দিয়ে পরিষ্কার করে বলে দিলেই তো হয়। এদিকে সর্বশেষ আবার নতুন বক্তব্য জানা গেলো অপু ও মাহির কাছ থেকে। অপু জানিয়েছেন, দুই বছর আগে আমাদের বিচ্ছেদ হতেই পারে না। তাহলে তো দুই বছরে মাহির সঙ্গে আমার সম্পর্কই অবৈধ হয়ে যাবে। তিনি দাবি করেন, মাহি ও তিনি মিলে আলাদা থাকার কথা সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এখানে প্রশ্ন ওঠে সেটাই যদি হবে, তাহলে মাহি কেন একাই আলাদা থাকার বিষয়টি প্রথম ঘোষণা দিলেন ফেসবুকে। আর ঘোষণার পর অপু কেন বললেন তিনি বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জেনেছেন। আসলে এই নাটকীয়তার শেষ কোথায়?